এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : সুস্বাদু ফল খেজুর। এর উপকারিতাও অনেক। আর সেকথা আমাদের কম-বেশি সবারই জানা। খেজুরে থাকা বিভিন্ন ধরনের ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ কার্যকরী। সেইসঙ্গে এই ফলে থাকে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট যা দ্রুত শক্তি দিতে কাজ করে। প্রতি ১০০ গ্রাম খেজুরে থাকে ৭৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট।
খেজুরে থাকে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, ভিটামিন বি৬ এবং প্রচুর ফাইবার। পুষ্টিকর এই ফলেরও আছে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। এটি অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পেট ব্যথা ও অ্যালার্জি। গবেষণায় উঠে এসেছে, অতিরিক্ত খেজুর খেলে শরীরে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যায়। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন কোন অবস্থায় খেজুর খাওয়া যাবে না-
অ্যালার্জি থাকলে: WebMD-এর তথ্য বলছে, অতিরিক্ত খেজুর খেয়ে ফেললে কারও কারও ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে অ্যালার্জি। অপরদিকে, খেজুরে অতিরিক্ত সালফাইড থাকার কারণেও অ্যালার্জি হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত খেজুর খাওয়ার পরে চোখে চুলকানি, অতিরিক্ত পানি পড়া এবং লাল হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যায় পড়তে হতে পারে। তাই যদি দেখেন যে খেজুর খাওয়ার পর অ্যালার্জি দেখা দিয়েছে তবে তা বাদ দিতে হবে।
ওজন কমানোর জন্য: দুটি শুকনো খেজুরে থাকে ১১০ ক্যালোরি, এমনটাই জানাচ্ছে WebMD। এটি শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি দেয়। তবে যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন তাদের জন্য খেজুর উপকারী ফল নয়। যারা ওজন কমাতে চান তাদের খাবারের তালিকা থেকে খেজুর বাদ দেওয়াই ভালো। খেজুরের বদলে অন্যান্য শুকনো ফল খান। তাতে একই সংখ্যক পুষ্টিকর উপাদান পেতে পারেন, তবে অনেক ক্যালোরি থাকবে না।
কম ব্লাড সুগার: আমেরিকান ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন অর্থাৎ NCBI-এর গবেষণা অনুসারে, অতিরিক্ত খেজুর খেলে তা হাইপোগ্লাইসেমিয়ার লক্ষণ বাড়িয়ে দেয়। এর মানে হলো, রক্তে শর্করার পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম থাকা। গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকে অভিযোগ করেছেন যে, খেজুর খাওয়ার পরপরই তারা অস্বস্তি এবং বদহজম অনুভব করতে শুরু করেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা যায় যে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের ঘুমের অভাবও দেখা দেয়।