এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : খাবারের জন্য আপনি কত টাকা খরচ করতে পারবেন? এটি অবশ্য নির্ভর করে আপনি কতটা ভোজন রসিক তার ওপর, সেইসঙ্গে সামর্থ্যের বিষয়টি তো রয়েছেই। কিন্তু আপনার যদি পয়সা খরচ করতে তেমন কোনো অসুবিধা না থাকে এবং সেইসঙ্গে নতুন সব খাবারের স্বাদ পেতে পছন্দ করেন তবে খেতে পারেন বিশ্বের সবচেয়ে দামী খাবারগুলো। আর যদি নাও খেতে চান, অন্তত জেনে নিতে পারেন সেগুলো সম্পর্কে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক বিশ্বের সবচেয়ে দামী খাবার কোনগুলো-
ইতালীয় আলবা ট্রাফেল: বিশ্বের দামি সব খাবারের তালিকায় সবার উপরে রয়েছে ইতালীয় আলবা ট্রাফেলের নাম। এই খাবার দামি হিসেবে দখল করেছে প্রথম স্থান। এটি কী জানেন? এটি আসলে এক ধরনের ছত্রাক। শুনে অবাক হচ্ছেন? আবার সব ট্রাফেলের মধ্যে এটিই নাকি সেরা। দাম শুনবেন না? এর দাম হলো মাত্র ১ লক্ষ ৬০ হাজার ডলার। খাবেন নাকি?
আলমাস ক্যাভিয়ার: এমনিতেই ক্যাভিয়ার খুব দামি। আলমাস ক্যাভিয়ারের যদি কোনো ডিশ অর্ডার করেন তাহলে আপনাকে খরচ করতে হবে ২৫ হাজার ডলার। সামুদ্রিক এক ধরনের মাছের ডিমকে ক্যাভিয়ার বলা হয়। তবে এই ডিম সংগ্রহ করার জন্য যেতে হয় সমুদ্রের নিচে। এই পদ্ধতি অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। অন্য একটি কারণ হলো এটি ২৪ ক্যারেট সোনার বাক্সে বিক্রি করা হয়। বুঝতেই পারছেন, এটি কেন এত দামি!
দ্য ফ্রোজেন হাউট চকোলেট: একটি আইসক্রিমের দামই ২৫ হাজার ডলার। আর সেটি খেতে চাইলে আপনাকে যেতে হবে যুক্তরাষ্ট্রে। দ্য ফ্রোজেন হাউট চকোলেট মিলবে সেখানেই। এই আইসক্রিমের মধ্যে থাকে ভোজ্য স্বর্ণ। যে পাত্রে এই চকোলেট পরিবেশন করা হয় তাতে স্বর্ণ এবং হীরা দিয়ে ডিজাইন করা থাকে। যে কারণে জায়গা করে নিয়েছে বিশ্বের দামি খাবারের তালিকায়।
ওয়াগইউ স্টেক: জাপানি গরুকে বলা হয় ওয়াগইউক। প্রথমে গরুকে বিয়ার খাওয়ানো হয় এরপর তাকে ম্যাসাজ দেওয়া হয়। ফলে মাংস সুস্বাদু হয়। জাপানের সব নামিদামি রেস্তোরাঁতে এই গরুর মাংসের স্টেক পাওয়া যায়। এর স্টেক খেতে হলে পকেট থেকে খরচ করতে হবে মাত্র ২৮ হাজার ডলার।
সামন্দরি খাজানা কারি: বিশ্বের দামি খাবার পাওয়া যায় ভারতেও। মুম্বাইয়ের সামন্দারি খাজানা কারির কথা নিশ্চয়ই জানেন? এর দাম তিন হাজার ২০০ ডলার। স্লামডগ মিলিনিয়র অস্কার পাওয়ার পর উদযাপনের জন্য মুম্বাইতে সামন্দারি খাজানা কারি বানানো হয়। এটা আসলে সি ফুড। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় কাঁকড়া, সাদা ট্রাফেল, বেলুগা ক্যাভিয়ার এবং চারটি স্কটিশ চিংড়ি ব্যবহার করা হয়।