এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় ড্রোন। কিন্তু এবার ড্রোন ব্যবহার করে লাগানো হবে গাছ। সম্প্রতি ড্রোনের মাধ্যমে গাছ লাগানোর প্রযুক্তি ব্যবহার করছে মার্কিন এক প্রতিষ্ঠান।
এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে সায়েন্স অ্যালার্ট।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান বায়োকার্বন ইঞ্জিনিয়ারিং সম্প্রতি ঘোষণা করেছে, তারা ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে গাছ লাগাবে। বছরে তারা এক বিলিয়ন গাছ লাগানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
বিশ্বের বনভূমি বেশ মারাত্মকভাবেই কমে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে ড্রোন ব্যবহার করে বড় আকারে বনায়ন করে সে ক্ষতি পূরণ করা সম্ভব বলেই মনে করছে প্রতিষ্ঠানটি।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সাবেক প্রকৌশলী লরেন ফ্লেচার বিশ্বের বনভূমির পরিমাণ দ্রুত কমে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন ছিলেন। এর সমাধান করা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় বলে মনে করেন তিনি।
ফলে প্রযুক্তির কারণে সৃষ্ট এ সমস্যাকে প্রযুক্তির মাধ্যমে সমাধান করতে তিনি মনোযোগী হন। এ কারণেই লরেন ফ্লেচারের নেতৃত্বে ড্রোনের মাধ্যমে গাছ লাগানোর প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন।
লরেন ফ্লেচার জানান, প্রতিবছর কাঠ হিসেবে ব্যবহার, খনিজদ্রব্য উত্তোলন, কৃষিকাজ ও শহরের বৃদ্ধির জন্য ২৬ বিলিয়ন গাছ কাটা হয়। স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি ব্যবহার করেই কেবল বড় আকারের বন ধ্বংস সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
এ প্রযুক্তিতে নির্দিষ্ট গাছের বীজ উর্বর মাটি ও সার একত্রে বুলেটের মতো করে প্রাকৃতিকভাবে বিনষ্ট হয়ে যায় এমন পাত্রে বুলেট আকারে স্থাপন করা হবে। এরপর তা ড্রোনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট এলাকায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিক্ষেপ করা হবে।
মাটিতে বিদ্ধ সেই বীজশুদ্ধ বুলেট থেকে গাছ গজালে ড্রোনের মাধ্যমেই সেই গাছগুলোর প্রয়োজনীয় পরিচর্যা করা হবে। এ পদ্ধতি গাছ লাগানোর মতো কার্যকর না হলেও এটি দ্রুত বনায়নে কার্যকর বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তারা জানাচ্ছেন, একটি ড্রোন ব্যবহার করে দিনে ৩৬ হাজার গাছ বপন করা সম্ভব। এতে সাধারণ পদ্ধতির তুলনায় মাত্র খরচ হবে ১৫ ভাগ।