শুক্রবার, ১৪ জুলাই, ২০২৩, ০৩:১৪:৩৯

যারা কোলবালিশ নিয়ে ঘুমায় তাদের সুখবর দিলেন বিশেষজ্ঞরা

যারা কোলবালিশ নিয়ে ঘুমায় তাদের সুখবর দিলেন বিশেষজ্ঞরা

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : সারাদিন নানা ব্যস্ততার পরে রাতের বেলা নিশ্চিন্ত ঘুম। এইটুকু প্রশান্তি প্রত্যাশা করি আমরা সবাই। নানা ধকল সামলে আমাদের শরীর যেমন বিশ্রাম চায়, তেমনই বিশ্রাম চায় আমাদের মনও। 

রাতের ঘুমটুকু যেন প্রশান্তির হয় সেজন্য আমাদের চেষ্টার কমতি থাকে না। কারও কারও অভ্যাস থাকে কোলবালিশ জড়িয়ে ধরে ঘুমানোর। এতে ঘুম আরও ভালো হয় বলেই দাবি তাদের। আপনারও কি এমনটা অভ্যাস রয়েছে? এই অভ্যাসের ফলে কি আসলেই কোনো উপকার হয় না ক্ষতি ডেকে আনে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

লাভ না ক্ষতি? বিজ্ঞান বলছে, আপনার যদি কোলবালিশ জড়িয়ে ধরে ঘুমানোর অভ্যাস থাকে তাহলে তা নিয়ে দুশ্চিন্তা না করলেও চলবে। কারণ এই অভ্যাস ক্ষতিকর নয়। কোলবালিশ জড়িয়ে ঘুমালে শরীর লাভবানই হয়। এটি ভালো অভ্যাস। এই সুখবরটি পেয়ে এবার তো তাহলে নিশ্চিন্ত হলেন। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক কোলবালিশ জড়িয়ে ধরে ঘুমালে শরীরের কী উপকার হয়-

মেরুদণ্ড ভালো থাকে: আপনি যখন দুই পায়ের মাঝে কোলবালিশ নিয়ে ঘুমান তখন মেরুদণ্ডের উপকার হয়। এই অভ্যাসের ফলে কমে আসতে পারে মেরুদণ্ডের বিভিন্ন ব্যথা। কারণ এই অভ্যাসের ফলে মেরুদণ্ডের আকার ঠিকঠাক থাকে। অপরদিকে দেখা গেছে, যাদের কোলবালিশ ছাড়া পাশ ফিরে ঘুমানোর অভ্যাস, তাদের ক্ষেত্রে মেরুদণ্ডের সমস্যা অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে।

সায়াটিক নার্ভের ব্যথা কমে: কোলবালিশ নিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে সায়াটিক নার্ভের ব্যথা কমে। যাদের পিঠে ব্যথার সমস্যা রয়েছে, তারা নিয়মিত কোলবালিশ নিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস করলে এই ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হতে পারে। এভাবে ঘুমালে পিঠের পেশির উপরেও চাপ কম পড়ে।

চিৎ হয়ে ঘুমালে: অনেকে পাশ ফিরে ঘুমানোর বদলে চিৎ হয়ে ঘুমানোর অভ্যাস থাকে। আপনারও যদি একই অভ্যাস থেকে থাকে, তবে একটি কাজ করতে পারেন। ঘুমানোর সময় মেরুদণ্ডের নিচে পাতলা একটি কোলবালিশ রেখে দিতে পারেন। এতে পিঠে ব্যথা থাকলে দূর হবে, সেইসঙ্গে মেরুদণ্ডও স্বাভাবিক অবস্থায় থাকবে।

গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে: বিশেষজ্ঞরা অনেক সময় গর্ভবতীদের কোলবালিশ নিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস দেন। তবে তা সাধারণ কোলবালিশের মতো নয়, সেগুলোর আকৃতি বিশেষ হয়। সেই কোলবালিশ নিয়ে ঘুমানোর অভ্যাসের ফলে ভ্রূণ সঠিক অবস্থানে ও নিরাপদে থাকে। তবে এ ধরনের বালিশ ব্যবহারের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে