এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের ভেতরে থাকে স্বচ্ছতা। থাকে পরস্পরকে বুঝতে পারার অভ্যাস। একে অন্যকে না লুকিয়ে সব সত্য সামনে এনে সত্যিই কি পথ চলা যায়? হয়তো এমন অনেক বিষয় থাকে যা স্বামী-স্ত্রী সচেতনভাবেই সামনে আনেন না। সম্পর্ক সুন্দর রাখার ক্ষেত্রেও অনেক সময় দুজনে এভাবে বোঝাপড়া করে চলেন।
নারীর মনের রহস্য নাকি খুঁজে পাওয়া যায় না। পুরুষের হৃদয়ও কম রহস্যময় নয়। কেবল নারীই কথা লুকিয়ে রাখেন না, পুরুষও এক্ষেত্রে একইরকম। অনেক কথা থাকে যেগুলো পুরুষ তার স্ত্রীর কাছে লুকিয়ে রাখেন বা তাকে জানাতে চান না। তবে সেগুলো যে ভয়ঙ্কর কিছু, এমনও নয়। আসলে তারা হয়তো এই বিষয়গুলো প্রকাশে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
ঝামেলা কিংবা চাপ: পুরুষ মানেই নির্ঝঞ্ঝাট জীবন নয়। বরং পুরুষকেও হাজারটা চাপ কিংবা ঝামেলা সামলাতে হয়। তারা সেসব চাপ সামলেই পথ চলেন। তবে সেসব নিয়ে খুব বেশি কথা বলতে চান না। সেইসঙ্গে তাদের চেষ্টা থাকে ঘরের নারী সদস্যদের যতটা সম্ভব এসব চাপ থেকে দূরে রাখার। তাই স্ত্রীকেও এসব বিষয় জানতে দিতে চান না। বেশিরভাগ পুরুষই বাইরের ঝামেলা নিজেই মিটিয়ে ফেলতে চেষ্টা করেন। স্ত্রীকে কিছুটা হলেও চাপমুক্ত রাখতেই হয়তো এমনটা তারা করে থাকেন।
ব্যর্থতার কথা: ব্যর্থ না হয়ে কেউ সফল হয় না। সব মানুষের জীবনেই কম-বেশি ব্যর্থতা রয়েছে। অধিকাংশ পুরুষের ক্ষেত্রেই দেখা যায় নিজের ব্যর্থতার কথা স্ত্রীকে জানাতে চান না। হয়তো স্ত্রীর চোখে সব সময় নায়ক হয়েই থাকতে চান বলে এমনটা করেন। হতে পারে স্ত্রীর করুণা পেতে চান না। কিন্তু ব্যর্থতার কথা লুকিয়ে রাখতেই বেশি পছন্দ করেন। এতে অবশ্য মানসিক চাপ বাড়ে। তাই সঙ্গীকে মনের কথা খুলে বলাই উত্তম।
নিজের আকাঙ্ক্ষার কথা: সব মানুষের ভেতরেই কিছু না কিছু চাওয়ার থাকে। কিন্তু বেশিরভাগ পুরুষ নিজের আকাঙ্ক্ষা বা চাহিদার কথা স্ত্রীকে বলতে পারেন না। হয়তো তারা এমনটা দেখেও অভ্যাস্ত নয়। কিন্তু দুজন দুজনের প্রতি নির্ভরশীল থাকলেই বরং সম্পর্ক আরও বেশি অর্থপূর্ণ হয়। তাই নিজের আকাঙ্ক্ষার কথা জীবনসঙ্গীকে জানানোই যায়।
স্ত্রীর বদ অভ্যাসের কথা: স্ত্রীর ভেতরে বদ অভ্যাস দেখলে তা ধরিয়ে দিতে পারেন না অধিকাংশ পুরুষ। যদিও তারা জানেন এটি মোটেও ঠিক নয়। কিন্তু ঝগড়াঝাটির ভয়ে মুখ ফুটে বলেন না। এতে দাম্পত্য সম্পর্ক আরও খারাপ হতে থাকে। তাই দুজনের ভালোর জন্যই সরাসরি বলে দেওয়া উত্তম।