এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : স্বামী-স্ত্রী মানে একে অন্যের সব কথা জানা। আসলেই কি তাই? অনেক সময় অনেক কথা গোপন করে যান একে অন্যের কাছে। কোনো এক দ্বিধা থেকে তারা কিছু কিছু কথা সঙ্গীকে বলতে পারেন না। সেসব কথা মনে ঘুরতে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুরুষেরা বেশিকিছু লুকিয়ে রাখতে পারেন না। কিন্তু নারীরা এক্ষেত্রে বিপরীত হয়ে থাকেন। তাদের মনে লুকিয়ে রাখতে পারেন অনেককিছুই।
অন্য নারী কী গোপন করলেন সেকথা জানার আপনার কোনো প্রয়োজন নেই নিশ্চয়ই। কিন্তু আপনার স্ত্রী যদি এভাবে গোপন রাখতে শুরু করেন তখন বিষয়টি নিশ্চয়ই ভালো প্রভাব ফেলবে না? আপনার মনে সন্দেহ জেগে উঠতে পারে। কিছু কৌশল জানা থাকলে খুব সহজেই স্ত্রীর মনের কথা জানতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
তাকে সময় দিন: আপনি হয়তো বাড়িতে খুব বেশি সময় থাকেন না। হতে পারে আপনারা দুজনেই চাকুরিজীবী। পরস্পরের জন্য খুব বেশি সময় আপনারা বের করতে পারেন না। তাই পুরো বিষয়টি আরেকবার ভেবে দেখুন। তাই সবার আগে দুজনের মধ্যে বেশি বেশি সময় কাটানোর অভ্যাস করুন। সময় দেওয়ার প্রসঙ্গ এলে সবার আগে যেন তার নামটি আসে। স্ত্রীর সঙ্গে মন খুলে কথা বলুন। আপনি তার আস্থার জায়গা হয়ে উঠুন। তাহলে তাকে আর আপনার কাছে মনের কথা লুকিয়ে রাখতে হবে না।
খোলাখুলি কথা বলুন: অনেক পুরুষ ইচ্ছে করেই স্ত্রীর সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি করে রাখেন। এটি মোটেও কোনো ভালো কাজ নয়। আপনারা পরস্পরের সঙ্গী। সুসময় এবং দুঃসময়ে একে অন্যের পাশে থাকবেন। সেটি যদি না করেন তবে স্ত্রী আপনাকে আপন ভেবে মনের কথা কেন বলবেন? তাই তার সঙ্গে সম্পর্কটি আগে সহজ করে নিন। যেন তিনি প্রাণ খুলে আপনার সঙ্গে কথা বলতে পারেন। নয়তো সবকিছু গোপন করাই তার জন্য স্বাভাবিক হয়ে উঠবে, সম্পর্কের দূরত্বও ঘুঁচবে না।
শারীরিক ঘনিষ্ঠতা জরুরি: অনেক স্বামী-স্ত্রী থাকেন যাদের মধ্যে শারীরিক ঘনিষ্ঠতা কম থাকে। এটি ঠিক নয়। দাম্পত্য জীবনে শারীরিক ঘনিষ্ঠতা থাকা জরুরি। এতে দুজনের মানসিক বন্ধনও দৃঢ় হয়। তখন তার নিজেদের মধ্যে কোনোকিছু গোপন রাখার প্রয়োজন পড়ে না। তাই দুজনের মধ্যে মানসিক দূরত্ব ঘোঁচাতে চাইলে শারীরিক ঘনিষ্ঠতাও বাড়াতে হবে।
তার ভরসা জয় করুন: স্ত্রীর সঙ্গে সব সময় কোমল ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। যদি তাকে রুক্ষ ভাষায় কথা বলেন, অপমান করেন তবে তিনিও আপনার থেকে দূরত্ব বজায় রাখবেন। তাই তার ভরসা জয় করুন। তাকে আপনার জীবনে কতটা প্রয়োজন তা তাকে জানান। আপনার কথাগুলো বিশ্বাস করতে পারলে তিনিও আপনাকে নির্ভয়ে মনের সব কথা জানাবেন।
কিছু নাহয় অজানা থাকুক: সবার সবকিছু জানতেই হবে এমন কোনো কথা নেই। কারও সম্পর্কে সবটা জানা হয়ে গেলে তাকে আর আপনার ভালো নাও লাগতে পারে। তাই সমস্যা এড়াতে কখনো কখনো কৌতুহল দমিয়ে রাখতে শিখুন। স্ত্রী নিজের থেকে আপনাকে যতটুকু বলেন, ততটুকু জেনেই খুশি থাকুন। সব সময় সবটা বলার জন্য তাকে জোর করবেন না। এতে উল্টো অশান্তি বাড়তে পারে।