এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডে নাম উঠল দুর্গাপুরের বিস্ময় বালক অভিমন্যু নন্দীর। বালকের এই সাফল্যে খুশির হাওয়া তাদের পরিবারে।বয়স মাত্র ২ বছর ২ মাস। তার মধ্যেই গড়গড় করে বলে দিচ্ছে সব রাজ্যের রাজধানী।
সব জাতীয় প্রতীকের নাম তাঁর ঠোঁটস্থ। মাত্র ১০ মিনিটে প্রায় ৯৮ টি নাম অবলীলায় বলে দিচ্ছে খুদে অভিমন্যু। আর সেই ভিডিও ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসের কাছে পাঠাতেই কেল্লাফতে। খুদের নামে শংসাপত্র, মেডেলসহ বুক অফ রেকর্ডসের বই বাড়িতে চলে এল ডাকযোগে।
এই ঘটনার পর থেকেই দুর্গাপুরের 'বিস্ময় বালক' অভিমন্যু নন্দীকে নিয়ে তুঙ্গে চর্চা। বালকের কীর্তিতে গর্বিত দাদু-দিদা, বাবা-মা! দুর্গাপুরের বিধাননগরের জোনাল মার্কেট কলোনি এলাকায় বাবা সঞ্জয় নন্দী ও মা সুস্মিতা নন্দীর সঙ্গে থাকেই ছোট্ট অভিমন্যু। ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে নাম ওঠার পর থেকে গোটা এলাকায় তাঁকে নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিমন্যুর স্মৃতিশক্তি প্রখর। যেদিন থেকে কথা বলতে শিখেছে, তারপর থেকেই সব মনে রাখতে পারে এই খুদে। বাবা পেশায় ব্যবসায়ী, মা গৃহবধু। মায়ের কাছে প্রশিক্ষণ শুরু হয় অভিমন্যুর। 'বিস্ময় বালক'-কে এখনও স্কুলে ভর্তি করেনি তাঁর পরিবার। এই অল্প বয়সে এখনও স্পষ্ট করে কথা বলতে না পারলেও অবলীলায় কঠিন শব্দ উচ্চারণ করতে তাঁর কোনও সমস্যা হয় না। রাজ্যের রাজধানী ও জাতীয় সব প্রতীকের নাম তাঁর মুখস্থ। এখন বিভিন্ন দেশ ও তার রাজধানীর নাম মনে রাখার তালিম চলছে।
সোমবার অভিমন্যুর বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, গোটা ঘরে সে খেলে বেড়াচ্ছে। ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের পাঠানো মেডেলের মূল্য এখনও সে বোঝে না। তাই সেই নিয়েই চলছে খেলা। তবে তাঁর মা-বা বুঝে গিয়েছেন যে তাঁদের ছেলে বিরল প্রতিভার অধিকারী। স্মৃতিশক্তির জোরে ছেলে পরিবার ও তাঁদের নাম আরও উজ্জ্বল করুক, তা চান এঁদের বাবা-মাও।
অভিমন্যুর মা সুস্মিতা নন্দী বলেন, 'সবে যখন ও কথা বলা শুরু করেছিল, তখন আমাদের কথা শুনে মনে রাখত। তখন আমার মনে হল, আমরা যদি ওকে কথা বলা শেখাই তবে হয়তো অনেক কিছুই মনে রাখতে পারবে। তখন থেকে ওকে আমার বিভিন্ন জিনিস শেখাতে শুরু করলাম। তারপর দেখলাম আসতে আসতে শিখে গেল।
এই অল্প বয়সে ও যে স্বীকৃতি পেয়েছে, মা হিসেবে তাতে আমি গর্বিত। বাড়ির সবাই ওর এই সাফল্যে খুশি। তবে এখন সবে শুরু, আগামী দিনে ও যাতে আরও বড় হতে পারে, আমাদের সেই চেষ্টা করে যেতে হবে। '-এই সময়