এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : মেয়েরা নাকি কথা লুকিয়ে রাখতে পারে না! তাদের কাছে কোনো কথা গোপন রাখতে দিলে সেটি নাকি আর গোপন থাকে না, এক কান দুই কান করে সবার জানা হয়ে যায়! আসলেই কি তাই? এরকম যে একেবারেই ঘটে না, তা নয়। তবে এটি পুরোপুরি সত্যিও নয়। কারণ মেয়েরা অনেক কথাই গোপন রাখে যার নাগাল কেউ পায় না।
একটু খেয়াল করলেই দেখতে পাবেন, মেয়েরা এমন কিছু বিষয় গোপন রাখে যেখানে কারও প্রবেশাধিকার থাকে না। আপনি যদি মনে করেন নারীর মনের সব খবর আপনি জেনে গেছেন, তবে তা ভুল। কিছু কথা মেয়েরা নিজের ভেতরে লুকিয়ে রাখে। সেসবের খোঁজ পাওয়া মুশকিল। জেনে নিন মেয়েরা সাধারণত কোন বিষয়গুলো গোপন রাখতে চায়-
১. অফিস সম্পর্কিত কিছু কথা: এখনকার বেশিরভাগ মানুষই চাকরিজীবী। অধিকাংশ বাড়িতেই নারী-পুরুষ চাকরি করেন। চাকরিজীবী মানুষগুলো অফিসে একটি আলাদা জীবন রয়েছে। সব সহকর্মীর সঙ্গে মিশতে গিয়ে নিজের অনেক পরিবর্তন আনতে হয়। তবে মেয়েরা অফিসের সব কথা সবার সঙ্গে শেয়ার করতে চান না। তারা ব্যক্তিগত জীবন আর কর্মজীবন আলাদা রাখতে পছন্দ করেন।
২. বান্ধবীর কথা: ছেলেরা বন্ধুদের সব কথা যেভাবে বলে দিতে পারে, মেয়েরা তা করে না। বেশিরভাগ মেয়েই এ বিষয়ে চুপ থাকতে পছন্দ করে। এমন নয় যে তাদের ভেতরে গোপন কিছু রয়েছে, কিন্তু তারা নিজেদের ভেতরের সাধারণ কথাও বাইরে বলতে চায় না। তাদের জীবনযাত্রার ধরনই এমন। এভাবে ছোট থেকে তারা বড় হয়। তাই বান্ধবীদের কথা কথা নিজেদের ভেতরে রাখতেই পছন্দ করে।
৩. ছোটখাটো সমস্যা: সবার জীবনেই কোনো না কোনো সমস্যা আসে। আবার সমাধানও হয়ে যায়। কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো, সমস্যার প্রথম দিকে মেয়েরা সেটি লুকিয়ে রাখতে পছন্দ করে। এখান থেকেই বাঁধে বড় সমস্যা। সাধারণ সমস্যা থেকে শুরু করে মারাত্মক কোনো শারীরিক জটিলতাও তারা লুকিয়ে রাখতে চায়।
৪. জমানো টাকার কথা: বেশিরভাগ মেয়েই টাকা জমিয়ে রাখতে পছন্দ করে। তাদের একদম ছোট বেলা থেকেই এই অভ্যাস থাকে। আপনি তার পাশাপাশি থাকলেও তার জমানো টাকার বিষয়ে আঁচ করতে পারবেন না। আপনাকে আড়াল করেই সে টাকা জমিয়ে যাবে। শুধু নিজের জন্য নয় বরং সবার জন্য ভেবেই সে এমনটা করে থাকে। তাই তাকে স্বার্থপর ভাবার কোনো কারণ নেই!
৫. ভবিষ্যতের পরিকল্পনা: মেয়েরা বেশিরভাগ সময় পরিকল্পনা সাজাতেই ব্যস্ত থাকে। কিন্তু আগামী নিয়ে তার পরিকল্পনা কী তা আপনি চাইলেই চট করে ধরতে পারবেন না। সে নিজের জীবন নিয়ে অনেক কিছুই ভেবে থাকতে পারে। মুখে না বললেও ভবিষ্যতে তা বাস্তবায়িত করবে। যেহেতু চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া, তাই এ নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কারণ নেই।