মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১২:১৭:৫৯

যে কারণে সহকর্মীদের অপছন্দের তালিকায় আপনার নাম!

যে কারণে সহকর্মীদের অপছন্দের তালিকায় আপনার নাম!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : কাজের শেষ নেই জীবনে। রোজ বাস ট্রেনের ঝক্কি সামলে অফিসে পৌঁছতেই প্রাণ ওষ্ঠাগত, তার উপর আবার অফিসে ঝামেলা তো লেগেই আছে। কিছুর মধ্যে কিছু নেই, রোজ কাজে ঢোকার পর থেকে আপনার সহকর্মীরা এমন করে তাকাচ্ছেন আজকাল, মনে হচ্ছে আপনি কোনও ঘোরতর দোষে দোষি। অফিসের কাজের বাইরের সমস্ত আনন্দ ফুর্তি থেকেও আপনার নাম কাটা যাচ্ছে। কিন্ত্ত কিছুতেই বুঝতে পারছেন না, আপনার দোষটা কোথায়। একবার ভেবে দেখেছেন, ঠিক কী কী কারনে আপনার সহকর্মীদের অপছন্দের তালিকায় আপনার নাম উঠতে পারে। কিন্ত্ত নাম উঠলেই তো হল না, সমাধানও চাই। তাই ঠিক কী করলে সেই শনির দশা কাটতে পারে সহজে সেটাও আপনার জেনে নেয়া চাই।

কাজে ফাঁকি
আপনি হয়তো কাজে আসছেন নিয়মিত, কিন্তু অফিসে এসে আপনার আলস্যের শেষ নেই। আপনার সহকর্মীরা যখন কাজের চাপে দম ফেলতে পারছেন না, তখন হয়তো আপনার চোখের সামনে চালানো রয়েছে কোনও কমপিউটার গেম বা আপনি ব্যাস্ত রয়েছেন আপনার স্মার্ট ফোনে। ফলে টিমে আপনার ভূমিকা কিন্তু ক্রমে কমে আসছে। এটা মোটেই ভালো চোখে দেখেন না আপনার সহকর্মীরা। কাজে আপনার অবদানের পরিমান বাড়ালে অফিসে আপনার উপস্থি্তি একদিকে যেমন জোরালো হবে, তেমনই আপনার প্রতি শ্রদ্ধাও বাড়বে আপনার সহকর্মীদের।

সহকর্মীর বন্ধু হয়ে উঠুন
আপনার ব্যক্তিগত জীবনে সমস্যা থাকতে পারে অনেক। সেই সব সমস্যার কথা আপনি বন্ধু হয়ে আপনার সহকর্মীদের বলতেই পারেন। কিন্তু খেয়াল রাখুন রোজ সেই সব সমস্যার কথা বলতে বলতে অন্যের সহ্যের সীমা না ছাড়িয়ে যান। মনে রাখবেন আপনার সহকর্মীর কথা শোনও খুব দরকার। তারও বন্ধু হয়ে উঠুন আপনি, কাজেও সাহায্য করুন, মাঝে মধ্যে দরকার পড়তে তার উনুপস্থিতিতে তার দায়িত্ব সামলে দিন, সহকর্মীর সাফল্যের জন্য ধন্যবাদ দিন, দেখবেন আপনার স্থান অফিসে অনেকটাই বেড়েছে।

মেপে কথা
অফিসটা কাজের যায়গা, সেটার পরিবেশ ভলো রাখাও আপনার কাজ। অফিসের মিটিংয়ে বেশি কথা না বললেও চলে, কাজের কথাটুকু গুছিয়ে সংক্ষেপে বলুন। যখন আপনার সহকর্মীরা কাজে ফিরতে চাইছেন, তখন আপনার অতিরিক্ত কথা তাদের কাছে আপনাকে অপছন্দের করে তুলতে পারে। ককাজের বাইরে অফিসে খুব বেশি কথা বলাটা বদ অভ্যাস। সহকর্মীদের নিয়ে বেশি গসিপ করাটাও অফিস কালচারের পরিপন্থী, তাই এড়িয়ে চলুন, একান্তই থাকতে হলে অংশগ্রহন করুন নূন্যতম।

নিজের কথাটা ভাবুন
আপনি হয়তো একটি কোম্পানিতেই অনেক দিন ধরেই কাজ করছেন, ফলে আপনার অভিজ্ঞতা অনেকটাই। বছরে বছরে যারা নতুন কাজ করতে ঢুকছে, তাদের কাজের ছোট খাটো জিজ্ঞাসার সমাধান করাও আপনার স্বভাব। তাদের সাহায্য করা খুবই ভলো অভ্যাস, কিন্তু মনে করে দেখুন আপনি যখন কাজ শুরু করতেন আপনাকে তো সব শিখতে হয়েছিল নিজে নিজেই। তাই অতিরিক্ত হেল্পফুল হলে অনেকে সেটা ভলো ভাবে নাও নিতে পারেন, তাই নতুনদের নিজের মতো করে শিখতে দিন, তাদের ভবিষ্যত্‍ শক্তিশালী হবে, আপনিও কিছুটা কাজ মুক্ত হবেন।-এইসময়

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে