এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : বর্ষায় ডেঙ্গু রাগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে ডেঙ্গু রোগীর ভিড় বাড়ছে হাসপাতালগুলোতে। ডেঙ্গু রোগের মূল কারণ হলো এডিস মশার কারণ। শুধু ডেঙ্গুই নয়, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়াসহ বিভিন্ন মশাবাহিত রোগের কারণ হলো মশার কামড়।
এই বর্ষাকালে মাঠে, ঘাটে, অলিতে-গলিতে জমা পানিতে জন্মায় অ্যানোফিলিস, এডিস কিংবা কিউলেক্স মশা। তবে কখনো কী ভেবে দেখেছেন, মশা কীভাবে মানুষের শরীর থেকে রক্ত চুষে খায়। এ বিষয়ে বিজ্ঞানীরা কী বলছে, চলুন জেনে নেওয়া যাক-
বিজ্ঞানীদের মতে, মশা কামড়ানোর সময় আমরা কিন্তু টের পাই না। মূলত মশার রক্ত খাওয়া প্রায় শেষের দিকে আমরা টের পাই। কারণ রক্ত খেতে গায়ে বসার সঙ্গে সঙ্গেই মশা তার মাউথ পার্টস দিয়ে আমাদের রক্তে ওদের লালারস মিশিয়ে দেয়। এ কারণে প্রথমদিকে আমরা বুঝতেই পারি না যে মশা কামড়াচ্ছে।
আসলে চামড়া ভেদ করে রক্তবাহ পর্যন্ত পৌঁছনোর জন্য মশার মুখে বিশেষ অঙ্গ আছে। তার মধ্যে একটি হলো ঠোঁটের মতো অংশ যাকে বলা হয় লেবিয়াম। মশা কামড়ানোর সময় এই অংশ থাকে ত্বকের বাইরে।
লেবিয়ামের সাপোর্টে মানব শরীরের ত্বকের মধ্যে মশা ঢুকিয়ে দেয় ৬টা সূচের মতো অংশ। এই ৬টি সূচের মতো অংশকে বলে স্টাইলেট। এই ৬টি সূচের মধ্যে ২টি সূচের মতো অংশকে বলে ম্যাক্সিলি।
এই ম্যাক্সিলিতেই থাকে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র দাঁতের মতো অংশ। আমাদের ত্বক চিড়তে বা চামড়া ভেদ করতে এটিকেই করাতের মতো ব্যবহার করে মশা।
এই দাঁতের মতো অংশগুলি এতই ধারাল হয় যে মানুষ বুঝতেই পারে না যে মশা কামড়াচ্ছে৷ এটি অনেকটা ড্রিল মেশিনের মতো৷ আরেকটি সূচের মতো অংশকে বলা হয় ম্যান্ডিবল৷ এটি ত্বকের চেরা অংশকে দু’পাশে ধরে রাখে৷
এরপরেই নিজের প্রবোসিস ঢুকিয়ে স্ট্র দিয়ে টানার মতো করে রক্ত খায় মশা। এছাড়া এই প্রোবোসিসকে সাপোর্ট দেয় হাইপোফ্যারিংক্সের মতো অংশ। এর মাধ্যমেই আমাদের শরীরে নিজেদের লালারস ঢুকিয়ে দেয় মশা। ফলে মশা কামড়ালেও আমরা টের পাই না।
মশার এই লালারস মানুষের রক্তবাহকেও ডায়ালেট করে। মানুষের প্রতিরোধ প্রতিক্রিয়াকে আটকায় ও প্রোবোসিসকে রক্ত শোষণ করাতেও সাহায্য করে। মশা কামড়ানো বিষয়টি খুব সাধারণ প্রক্রিয়া মনে হলেও, মশার জন্য বিষয়টি যথেষ্ট জটিল বলেই মনে হয়।
এ সময় মশা থেকে সবাইকে সাবধান থাকতে হবে। ছোট-বড় সবারই এখন মশার কামড় থেকে দূরে থাকার জন্য সজাগ থাকতে হবে ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সূত্র: নিউজ ১৮