অ্যাড. এমদাদুল হক লাল, গাজীপুর থেকে : আমাদের দেশের প্রাচীনতম পাখি বুলবুলি। এই পাখি দেখা যায় গ্রামেগঞ্জের গাছপালায়। এ গাছ থেকে ও গাছে উড়ে বেড়ায় বুলবুলি পাখি। বুলবুলি পাখি দেখতে খুবই সুন্দর। বুলবুলির মাথায় ঝুটির কারণে এর সৌন্দর্য আরো ফুটে ওঠে। লেজের কারণে পাখিটির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে। ঐতিহ্যবাহী এ প্রজাতির পাখি এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে।
দুর্লভ এ প্রজাতির পাখি গাছে বাসা বেঁধে বসবাস করে। কিন্তু গাছ ছেড়ে ফ্যানের পাখার ডাকনায় বুলবুলি পাখির বসবাস বিরল ঘটনা। এমন ঘটনাই ঘটেছে গাজীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির হলরুমে। ভবনটির দ্বিতীয় তলায় ৮নং রুমের দক্ষিণ সারির দ্বিতীয় ফ্যানের ডাকনায় বাসা বেঁধেছে বুলবুলিটি।
অ্যাডভোকেট লুৎফর রহমানের টেবিল বরাবর ফ্যানের ডাকনায় ডিমে তা দিচ্ছে বুলবুলিটি। ফ্যান ঘুরছে তবুও লড়ছে না পাখিটি। অসম্ভব সুন্দর লেজধারীর এ পাখিটির এমন দৃশ্য দেখতে হাজার হাজার উৎসুক মানুষের ভিড়। তবুও পাখিটি আপন মনে তা দিয়ে যাচ্ছে ডিমে। যেনো আইনজীবীদের সাথে সখ্য গড়ে তুলেছে পাখিটি।
এ অবস্থা দেখে পাখিটিকে আইনি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে আইনজীবীরা। পাখির পাহারায় কাজ করছেন তারা। সব ধরনের ঝামেলা থেকে রক্ষা করছেন পাখিটিকে। আহারের জন্য খোলা রাখা হয়েছে দুটি জানালা। যদিও নিরাপত্তায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে সেখানে। তবুও বুলবুলিটির নিরাপত্তা ও আহারের জন্য বিষয়টি ভাবেননি তারা। আইনজীবীদের এ মহানুভবতায় ধন্যবাদ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
যে ফ্যানের ডাকনায় আশ্রয় নিয়েছে বুলবুলি পাখিটি সেই টেবিলের আইনজীবী লুৎফর রহমান এমটিনিউজ২৪ডটকমকে বলেন, পাখির আশ্রয়স্থল বন-জঙ্গল বা গাছপালায়। কি কারণে বুলবুলিটি ফ্যানের ডাকনায় আশ্রয় নিয়েছে তা বোধগম্য নয়।
তিনি বলেন, যেহেতু এখানে আশ্রয় নিয়েছে তার দেখভাল আমরা এড়িয়ে যেতে পারি না। আমরা পাখিটির সব ধরনের সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা নিয়েছি। গাছপালায় নিরাপদ না ভেবে হয়তো পাখিটি আইনজীবীদের সংস্পর্শে এসেছে। কোনোরকম যাতে ডিস্টার্ভ না হয় সেদিকে খেয়াল রয়েছে আমাদের।