এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: প্রেসিডেন্টের বাড়িতে স্বর্ণের তৈরি টয়লেট রয়েছে বলে দাবি করার পর মামলার মুখে পড়েছেন দেশটির প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা কেমাল কিলিজদারওগ্লু। যারা নিয়মিত এমটিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম পড়ে থাকেন তার নিশ্চয় অনুমান করতে পারছেন কোন প্রেসিডেন্টের কথা বলছি।
ঠিক ধরেছেন বলছি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এর্দোগানের কথা। তার বিলাসবহুল যে প্রাসাদটি সম্প্রতি আদালত অবৈধ ঘোষণা করেছে সেখানে স্বর্ণের তৈরি একটি টয়লেট রয়েছে। বিরোধি নেতা ওই ঘটনা ফাঁস করার পর প্রেসিডেন্টের আইনজীবী মুয়াম্মার জেমালওগ্লু ওই নেতার বিরুদ্ধে ৩৭ হাজার তিনশ’ ডলারের মানহানির মামলা করেছেন।
তুরস্কের রিপাবলিকান পিপল’স পার্টি-সিএসপি’র কেমাল কিলিজদারওগ্লু গত শনিবার দাবি করেছেন, এর্দোগানের প্রাসাদে সোনার টয়লেট রয়েছে। তবে এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে এর্দোগান বলেছেন, বিরোধী দলীয় নেতা কি পরিচ্ছন্নতাকর্মী যে, তিনি প্রাসাদে টয়লেট পরিষ্কার করতে গিয়ে তা দেখেছেন। এরপর বিরোধী দলীয় নেতা দেশটির একটি টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আমি ওই সব পরিচ্ছন্নতাকর্মীর চোখে চুমো খাই যারা তার সন্তানদের জন্য টয়লেট পরিষ্কার করার কাজ করেন।’
প্রাসাদে সোনার টয়লেট খুঁজে বের করার জন্য এর্দোগান তাকে যে আমন্ত্রণ জানিয়েছে তা প্রত্যাখ্যান করে বিরোধী দলীয় নেতা বলেছেন, ‘প্রাসাদে আমার কোনো কাজ নেই। তাকে একাই সোনার টয়লেট ব্যবহার করতে দিন। সোনা, ডলার আর ইউরোর প্রতি এর্দোগানের লোভের বিষয়টি আমার জানা আছে।’
এর্দোগানের সরকার ৬১ কোটি ৫০ লাখ ডলার ব্যয়ে একটি বিলাসবহুল প্রাসাদ নির্মাণ করেছেন। তবে সম্প্রতি ওই প্রাসাদকে অবৈধ ঘোষণা করেছে দেশটির সর্বোচ্চ সাংবিধানিক আদালত। ক্ষমতায় আসার পর রাজধানী আঙ্কারার সংরক্ষিত একটি এলাকায় ‘হোয়াইট প্যালেস’ বা স্বেত প্রাসাদ নামের ১,১৫০ কক্ষবিশিষ্ট ওই প্রাসাদটি নির্মাণ করেন তিনি। গত বছর এর্দোগান ওই প্রাসাদ ওঠেন।
সূত্র: রেডিও তেহরান