মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১২:২১:৫৮

দু’চাকায় দুনিয়াদারি কচ্ছপের!

দু’চাকায় দুনিয়াদারি কচ্ছপের!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : দু’চাকায় দুনিয়াদারি কচ্ছপের- এমন কথা বললে পাগল ছাড়া আর কিছু ভাববে না।  মিসেস টি’র জন্য নিশ্চিতভাবে আসলে তাই।  গত মাসে আকস্মিক দুর্ঘটনা নবতিপর নারীকে স্তবির করে দেয়।

আবার হাঁটতে চলতে পারবে কেউ ভাবেনি।  হাঁটাচলা তো দূরের কথা, জীবন সংশয় হয়ে ওঠে তার।  সেই মিসেস টি এখন হাঁটাচলা করছে বললে ভুল হবে, রীতিমতো দৌড়াচ্ছে।  নিজের যুবতীবেলাতেও এত ক্ষিপ্রগতিতে চলে ফেরা করতে দেখা যায়নি তাকে।

মিসেস টি, জুয়েড রাইডারের পোষ্য কচ্ছপের নাম।  যার বয়স এখন ৯০। সাউথ ওয়েলসের বাড়িতে তাকে যখন প্রথম আনা হয়, তখনই বয়স ৬০ ছুঁইছুই।  রাইডার তখন নেহাতই দুধের শিশু।  বছর সবে দুই।  সেই থেকেই দোস্তি দুজনের।

এতদিন নিরাপদেই ছিল সেই কচ্ছপ।  দিব্য ফুরফুরে মেজাজে বাড়ির বাগানে চড়ে বেড়াত।  সেদিনও ঘুরছিল বাগানে।  গত মাসের ঘটনা।  কিন্তু কোনো সময় দুষ্টু এক ইঁদুর বাগানে ঢুকে অতর্কিতে হামলা চালায়।  সে ভয়ানক রক্তাক্ত কাণ্ড!

ধেড়ে ইঁদুরটি সামনের দুটো পায়ে এমন কামড় বসায়, সেই থেকে আর নড়াচড়ার উপায় ছিল না নবতিপর কচ্ছপের।  বাড়িতে ডাক্তার এনে প্রচুর টাকা খরচ করেও পা দুটো আর আগের মতো হয়নি।  জলের মতো শুধু ডলার খরচ হয়েছে।

কিন্তু আশার আলো দেখাতে পারেননি কোনো ডাক্তারই।  প্রিয় পোষ্যের এমন জবুথবু অবস্থা দেখে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন রাইডার।  কী করবেন, অনেক ভেবেচিন্তে ছেলেরই শরণাপন্ন হন।  ছেলে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার।  তার বুদ্ধিতেই কচ্ছপের শরীরের সঙ্গে চাকা জুড়ে দেয়া হয়।  বাড়িতে যে খেলনা উড়োজাহাজ ছিল তার চাকাই লাগানো হয়েছে।

অবাক কাণ্ড! সেই দু’চাকায় ভর দিয়ে দিব্য চলেফিরে বেড়াচ্ছে বাড়ির বর্ষীয়ান সেই কচ্ছপ।  তা দেখে আপ্লুত রাইডার।  তার কথায়, এমনিতে আর কোনো অসুবিধা নেই মিসেস টি’র।  পেছনের পা দিয়ে ঠেলে, সুন্দরভাবেই হাঁটাচলা করছে।  তবে এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

ধেড়ে ইঁদুরের পাল্লায় কচ্ছপের প্রাণ যাওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়।  ২০১৩-এ ব্রিটেনের শতায়ু কচ্ছপ থমাস মারা যায় কচ্ছপের কামড়ে।  বয়স হয়েছিল ১৩০ বছর।  পাঁচদিন ধরে লড়াই চালিয়ে শেষ পর্যন্ত প্রাণ হারায়।  তবে এ যাত্রায় রক্ষা পেয়েছে মিসেস টি।  সূত্র : এই সময়

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে