এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে অনেক নতুন শব্দ এবং নতুন অনেক কিছুই শিখেছি আমরা। এমনি সেগুলোতে এখন অভ্যস্ত হয়ে গেছি বলা যায়। এই যেমন ধরুন-চ্যাট করার সময় মনের ভাব প্রকাশে দীর্ঘ বাক্য লিখতে হয় না। ছোট একটা ইমোজি দিয়েই অপর পাশের মানুষকে তা বোঝানো যায়।
হাসি, কান্না, অভিমান, ভালোবাসা, অ্যাপ্রিসিয়েশন, সব কিছুর জন্যই আছে আলাদা আলাদা ইমোজি। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপে সারাক্ষণ এই ইমোজি ব্যবহার করছেন। কিন্তু জানেন কি? এই ইমোজির ব্যবহার শুরু হলো কবে কখন। এমনকি ইমোজির জন্য আছে গোটা একটি দিন। প্রতিবছর ১৭ জুলাই পালিত হয় ইমোজি দিবস। এই দিনটির মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের কথোপকথনের মধ্য়ে ইমোজি ব্যবহারের প্রচার।
১৯৯৯ সালে, জাপানের একটি মোবাইল অপারেটিং সংস্থায় কর্মরত শিগাকাট কুরিতা নামের এক ইঞ্জিনিয়ার প্রথম ইমোজি তৈরি করেন। মোট ১৭৬ টি ইমোজি তৈরি করেন তিনি। যা মোবাইল ইন্টিগ্রেটেড সার্ভিস আই-মোডের মুক্তির কথা ভাবা হয়েছিল। এরপর ২০১০ সালে ইউনিকোড ইমোজি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর গুগল, মাইক্রোসফট, ফেসবুক এবং টুইটার সেই পথ অনুসরণ করে।
সম্প্রতি ইউনিকোড ৬.০ ভার্সেনের মোট ৯৯৪ টি চরিত্রের ইমোজি তৈরি করেছে। যার মধ্যে পরিবার, হৃদয়, প্রাণী, দেশ, পতাকা, জামাকাপড়, ঘড়ি, খাবার এবং শহরের প্রতীক উপলব্ধ রয়েছে। এছাড়াও প্রতি বছর নতুন নতুন ইমোজি তৈরি করে ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম। তার একটি তালিকাও প্রকাশ করা হয়। এরপর অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করা হয়।
অনুমোদনের জন্য আসা ইমোজিগুলোতে ভোট প্রক্রিয়া চলে। সেই সদস্যদের মধ্যে থাকে নেটফ্লিক্স, অ্যাপল, ফেসবুক, গুগলসহ আরও অনেক সংস্থার কর্মকর্তারা। অনুমোদন পাওয়া গেলে ইমোজিগুলো বাজারে ছাড়া হয়। এরপর সেগুলোকে অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমগুলো তাদের নিজস্ব প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারের জন্য প্রেরণ করে। সূত্র: ন্যাশনাল টুডে