এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: বর্ষার মরসুমে বাঙালির পাতে সেজে ওঠার সময় হয়েছে ইলিশ মাছের। ডিমভরা ইলিশের স্বাদ যেন কোনও মানুষেরই অপ্রিয় না। ইলিশ মাছের ডিম খায় না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল।
অনেকেই বাজারে গিয়ে ডিমভরা ইলিশের খোঁজ করেন। মাছে ডিম থাকলে তবেই কেনেন। বিশেষজ্ঞদের দাবি, ইলিশ মাছের ডিম নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর। ডিমের নানা উপাদান শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে পারে।
ইলিশের ডিমে থাকা ইপিএ, ডিএইচ ও ডিপিএ মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতিসাধনে কাজে লাগে। ইলিশ মাছে ও ডিমে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এটি রিউম্যাটয়েড আর্থারাইটিসের লক্ষণ দূর করতে সাহায্য করে।
মাছের ডিমে থাকা ভিটামিন এ চোখের জন্য উপকারী। শিশুদের জন্যও এটি কার্যকরী। রক্ত পরিষ্কার করে রক্তাল্পতা কমাতে সাহায্য করে ইলিশ মাছের ডিম। মাছের ডিমে থাকে ভরপুর ভিটামিন ডি।
তবে মাছ আর ডিমের ক্ষেত্রে হিসাব একটু আলাদা। ডিমের ক্ষেত্রে যে ওই ইলিশ পদ্মা-মেঘনারই হতে হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। নোনা জলের ইলিশের ডিম নাকি বেশি স্বাদ। মিষ্টি জলের মাছ বেশি সুস্বাদু। ব্যবসায়ীরা অন্তত এমনই দাবি করেন।
পুষ্টিবিদরা ইলিশ মাছের চর্বি কে ভাল চর্বি হিসেবেই বিবেচনা করেন। ১০০ গ্রামের ইলিশ মাছে প্রায় ২১.৮ গ্রাম প্রোটিনের পাশাপাশি রয়েছে উচ্চ পরিমাণ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, নায়সিন, ট্রিপ্টোফ্যান, ভিটামিন, বি ১২, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামসহ অন্যান্য ভিটামিন ও মিনারেলস।
ইলিশের ডিমে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড হার্টের রোগ প্রতিরোধ করে। রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না, উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। বিঃদ্রঃ এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। সূত্র: নিউজ ১৮