বৃহস্পতিবার, ০৩ আগস্ট, ২০২৩, ০৫:৫৬:৫৮

স্মার্টফোন ব্যবহারে আরও বেশি সতর্ক হোন, ঘটতে পারে ভয়ঙ্কর বিপদ!

স্মার্টফোন ব্যবহারে আরও বেশি সতর্ক হোন, ঘটতে পারে ভয়ঙ্কর বিপদ!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: আমাদের প্রায় সকলের জীবনেই স্মার্টফোন একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। স্মার্টফোন আমাদের প্রিয়জনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে, আমাদের পেশাদার জীবন বজায় রাখতে এবং বিনোদনের নানা ব্যাপারে সাহায্য করে।

তবে, প্রতিটি পরিস্থিতিতে সবসময় স্মার্টফোন ব্যবহার করা উচিত নয়। স্মার্টফোন প্রয়োজনীয় হলেও, বেশ কিছু পরিস্থিতিতে স্মার্টফোন ব্যবহার করা উচিত নয়। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কোন কোন কাজ করার সময় স্মার্টফোন ব্যবহার করা উচিত নয়।

নিজেদের পোষা প্রাণীদের সময় দেওয়া প্রয়োজন। সুতরাং যখন কেউ তাদের সঙ্গে রাস্তায় হাঁটতে যায় বা তাদের সঙ্গে খেলা করে, তখন ফোন ব্যবহার করা উচিত নয়। ঘুম থেকে উঠেই স্মার্টফোন নিয়ে বসে পরা উচিত নয়। 

যদি দেখা যায় ঘুম থেকে উঠে কোনও ব্যক্তি এবং তার সঙ্গী কিংবা সঙ্গিনী দুইজনেই ফোনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন, তাহলে সেটা সম্পর্কের ক্ষেত্রে খুব একটা ভাল লক্ষণ নয়। ডিনারের সময়ে বিশেষ করে স্মার্টফোনে মন দেওয়া উচিত নয়। 

সম্ভব হলে খাওয়ার সময় স্মার্টফোন ব্যবহার করা একেবারেই বাদ দিতে হবে। নিজেদের আশেপাশের পরিবেশ যতই নিরাপদ মনে হোক না কেন, রাস্তায় হাঁটার সময় স্মার্টফোনে বেশি চোখ রাখা উচিত নয়। সেই সময় রাস্তার দিকেই বেশি নজর দেওয়া উচিত। না হলে মারাত্মক বিপদ হতে পারে।

কেউ যখন কোনও পরিবারের সদস্য বা বন্ধুর সঙ্গে কথা বলেন, তখন তাদের সম্পূর্ণ মনোযোগ সেই কথোপকথনেই দেওয়া উচিত। সেই সময় স্মার্টফোন চেক করা বা ব্যবহার করা ঠিক নয়। বন্ধু অথবা পরিবারের সঙ্গে গেম খেলার সময় বা টিভি দেখার সময় স্মার্টফোন ব্যবহার করা উচিত নয়। 

সেই সময় স্মার্টফোন মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। কেউ যখন ওয়াশরুম থেকে ফোনের উত্তর দেন, তখন অন্য পক্ষ সহজেই জানতে পারেন যে ওই ব্যক্তি ওয়াশরুমে রয়েছেন। প্রতিধ্বনির কারণে এটি সহজেই বোঝা যায় যে ওয়াশরুম থেকে উত্তর দেওয়া হচ্ছে। 

এই অভ্যাস অস্বাস্থ্যকর। তাই শৌচাগারে যাওয়ার সময় নিজেদের স্মার্টফোন সঙ্গে রাখা উচিত নয়। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া একটি গভীর সংবেদনশীল অনুষ্ঠান। তাই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার মতো গুরুতর কিছুর মাঝখানে স্মার্টফোন ব্যবহার করা মৃত এবং তাদের পরিবার উভয়ের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করে।

পাবলিক ট্রান্সপোর্টে যাতায়াত করলে সর্বদা মনে রাখা উচিত যে, পাশের যাত্রী অন্যের কথোপকথন শুনতে চান না। সুতরাং স্মার্টফোনে জোরে জোরে কথা বলে অন্যকে বিরক্ত করা উচিত নয়। খুব দরকারি ফোন এলে ধীরে ধীরে কথা বলা উচিত বা অন্য কোথাও সরে গিয়ে কথা বলা উচিত।

একান্ত মুহুর্তে বিশেষ করে সঙ্গীনীর সঙ্গের যৌ'নতার মতো ব্যক্তিগত মুহূর্ত কাটানোর সময় সম্পূর্ণ মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। সেই সময় স্মার্টফোন ব্যবহার সম্পর্কে বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে