এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : আমরা সকলেই জানি জীবনে সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য যে অর্থের প্রয়োজন রয়েছ। দেশে-বিদেশে সঠিক পদক্ষেপ ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সাধারণ অবস্থা থেকে বিপুল অর্থবান হয়ে ওঠার অনেক নিদর্শন রয়েছে। আপনিও একদিন এইভাবে প্রচুর অর্থের মালিক হবার স্বপ্ন দেখতেই পারেন।
কিন্তু বিখ্যাত মিলিয়নিয়র স্টিভ সিবোড বলছেন, কোনও মানুষ ভবিষ্যতে মোটা অঙ্কের অর্থ রোজগার করতে সক্ষম হবেন কি না, তা বর্তমানে সেই মানুষটির মধ্যে থাকা কয়েকটি লক্ষণ দেখেই বুঝে নেওয়া সম্ভব। এমনকী কোন মানুষ অর্থ রোজগারে পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ হবেন, তা-ও বোঝা সম্ভব।
স্টিভ জানালেন এমন ন’টি এমন লক্ষণের কথা, যেগুলি কোনও মানুষের মধ্যে বর্তমানে দেখা গেলে নিশ্চিন্ত থাকা যায় যে, তিনি জীবনেও ব্যতিক্রমী মাত্রার অর্থ রোজগার করতে পারবেন না। আসুন, জেনে নেওয়া যাক লক্ষণগুলি—
১. আপনি রোজগারের তুলনায় সঞ্চয়ের উপরের বেশি জোর দেন-
অর্থবান হয়ে ওঠার জন্য সঞ্চয়ের অবশ্যই প্রয়োজন রয়েছে, কিন্তু সঞ্চয়ের প্রয়োজনীয়তা কখনওই অর্থ উপার্জনের চেয়ে বেশি হতে পারে না। মনে রাখবেন, অর্থ সঞ্চয় তখনই ফলপ্রসূ হবে, যখন আপনি মোটামুটি ভদ্রস্থ একটা অর্থ উপার্জনে সক্ষম হবেন।
২. আপনি বিনিয়োগে তেমন মনোযোগী নন-
প্রচুর টাকার মালিক তারাই হতে পারেন, যারা সঠিক সময়ে সঠিক ক্ষেত্রে সঠিক অর্থের বিনিয়োগ করতে পারেন। শেয়ার হোক কিংবা মিউচুয়াল ফান্ড— যথাযথ বিনিয়োগের অভ্যাস যদি অল্প বয়স থেকেই গ়়ড়ে তুলতে না পারেন, তাহলে ভবিষ্যতেও আপনি ঈর্ষণীয় সম্পত্তির মালিক হতে পারবেন বলে মনে হয় না।
৩. নিজের রোজগারে আপনি সন্তুষ্ট-
নিজের জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা ভাল, কিন্তু একথাও সত্য যে, যে কোনও ক্ষেত্রেই সফল হতে গেলে উচ্চাশা থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। অর্থ রোজগারের অ্যাম্বিশন এবং জেদ যদি আপনার না থাকে, তাহলে আর্থিক ক্ষেত্রে আপনার সাফল্য আসবে না।
৪. সাধ্যের বাইরে গিয়ে কেনাকাটা করা আপনার স্বভাব-
সাধ্যের মধ্যে সাধ পূরণ না হলে সাধ্যাতীত রকমের খরচ করে ফেলা যদি আপনার স্বভাব হয়, তাহলে বলতে হবে আপনার এই স্বভাব আপনার অর্থবান হয়ে ওঠার পথে বড় বাধা। খরচ করুন সেটুকুই, যেটুকু আপনার সাধ্যে কুলোয়। নতুবা সঞ্চয়ের পথ কোনওদিনই প্রশস্ত হবে না।
৫. আপনি নিজের নয়, অন্য কারো স্বপ্ন পূরণের জন্য খাটছেন-
বাবা-মা, সন্তান বা স্ত্রীর স্বপ্ন পূরণ করা নিশ্চয়ই মহৎ কর্তব্য। কিন্তু সেই স্বপ্ন যদি আপনার নিজেরও স্বপ্ন না হয়ে ওঠে, তাহলে সেই কাজে আপনার সাফল্যের সম্ভাবনা যেমন কমে যায়, তেমনই নিজের আর্থিক উন্নতির জন্য আপনার শ্রম এবং অধ্যবসায়েও ঘাটতি পড়ে। কাজেই অন্য কারো স্বপ্ন পূরণ করতে হলে সেই স্বপ্নকে নিজের স্বপ্ন বলে ভাবুন। নতুবা সেই স্বপ্ন পূরণের দায়িত্ব থেকে নিজেকে অব্যাহতি দিন।
৬. চেনা পথের বাইরে হাঁটতে আপনি অনিচ্ছুক-
শুধু আর্থিক ক্ষেত্র বলে নয়, যে কোনও ক্ষেত্রে সাফল্যের জন্যই সুচিন্তিত ঝুঁকি নেওয়া জরুরি। কিন্তু যে কাজ আপনি আগে কখনও করেননি, তা করার সাহস যদি আপনার না থাকে, তাহলে আপনি অর্থ রোজগারের জন্য প্রয়োজনীয় ঝুঁকিটুকুই বা নেবেন কীভাবে!
৭. আপনার উপার্জনের কোনও সুনিশ্চিত লক্ষ্য নেই-
আপনি প্রচুর উপার্জন করতে চান ঠিকই, কিন্তু কেন এই পরিমাণ উপার্জন করতে চান, তা কখনও ভেবে দেখেছেন? উপার্জিত অর্থ নিয়ে আপনি কী করবেন, সে সম্পর্কে আপনার একটা সুনিশ্চিত ধারণা এখন থেকেই থাকা অত্যন্ত জরুরি। লক্ষ্যহীনভাবে অর্থ রোজগার করতে গেলে মাঝপথে লক্ষ্যচ্যুত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল।
৮. আপনি প্রথমে খরচ করে নেন, তারপর অবশিষ্ট অর্থটুকু সঞ্চয় করেন-
অত্যন্ত বাজে অভ্যাস। আইডিয়ালি হওয়া উচিত ঠিক এর উল্টোটা। মাসের শুরুতেই একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সঞ্চয়ের জন্য তুলে রাখুন। তারপর অবশিষ্ট অর্থে মাস গুজরানের চেষ্টা করুন।