শনিবার, ০৫ আগস্ট, ২০২৩, ০৬:২০:১৩

প্রতিদিন এই কাজগুলো করলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে!

প্রতিদিন এই কাজগুলো করলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: ঋতুবদলের আগের মুহূর্তে বাতাসে জীবাণুর সক্রিয়তাও বাড়ে। যারা ওষুধ খেতে ভালবাসেন না তারা কী করবে? আয়ুর্বেদ বলছে, তাদের জন্যই এই বিশেষ চিকিৎসা ব্যবস্থা। যার কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। অথচ ঘরোয়া কিছু জিনিস তালিকায় রাখলেই আপনি সুস্থ। কী সেগুলো?

১. শরীর তখনই সুস্থ যখন আপনি খাবার হজম করতে পারবেন। আয়ুর্বেদে এই হজম ক্ষমতাকেই বলা হয় ‘অগ্নি’। এর জন্য সহজপাচ্য খাবার খেতে হবে। সঙ্গে থাকবে প্রচুর জল। তাহলেই যে কোনও খাবার সহজেই হজম হবে। তার ছাপ পড়বে শরীরে, ত্বকে। ত্বক হবে ঝলমলে। 

শরীরও যে কোনও রোগের মোকাবিলা করতে পারবে। আয়ুর্বেদ আরও বলছে, অস্বাস্থ্যকর, খুব বেশি বা খুব কম খাওয়া, অথবা খাবারের ভুল সংমিশ্রণ আমাদের হজমশক্তি কমায়। দুর্বল হজমক্ষমতা মানেই শরীরের ভিতরে দূষিত পদার্থ জমা হওয়া। যা শারীরিক চ্যানেলগুলিকে আটকে দিয়ে পুষ্টি শোষণে বাধা দেয়।

২. এবার প্রশ্ন, যাঁদের হজমশক্তি কমজোরি তাঁরা এই ক্ষমতা বাড়াবেন কী ভাবে? আয়ুর্বেদ বলছে, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া অর্থাৎ জাঙ্ক ফুড না খাওয়া অন্যতম পদ্ধতি। এছাড়াও কিছু খাবার রোজের তালিকায় রাখতে পারেন। 

যা শরীরকে চাঙা এবং সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। যেমন, কাঁচা আমলকির টুকরো বা রস, খেজুর, মাখন বা ঘি, গুড়, তুলসীপাতা, হলুদ, আদা।

৩. মুলেঠি, তুলসী, দারচিনি, আদা, লবঙ্গ, হলুদ, গিলো এবং কালো মরিচ দিয়ে তৈরি একটি কাত্থ বা ভেষজ চা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই বিশেষ চায়ে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরির গুণ ভরপুর। 

তাই এই ভেষজ ক্বাথ শুধুমাত্র রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় না। শরীরে জমে থাকা দূষণ কমায়। ফুসফুসে জমে থাকা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে। প্রদাহ কমায়, বার্ধক্য রোধ করে। এবং ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

৪. আগেকার দিনে দাদু বা বয়স্ক মানুষেরা নস্যি নিতেন। আয়ুর্বেদ বলছে, নস্যি থেরাপি রোগপ্রতিরোধের আরও একটি বিশেষ চিকিৎসা ব্যবস্থা। শুধু পার্থক্য, নস্যির বদলে নাকে কয়েক ফোঁটা তেল ফেলে টানতে হবে। 

এই থেরাপির জন্য কয়েক ফোঁটা ঘি, তিলের তেল, নারকেল তেল বা সর্ষের তেল ব্যবহার করতে পারেন। স্নানের আগে খালিপেটে থেরাপি করতে হবে। বালিশে মাথা দিয়ে শুয়ে পড়ুন। চেয়ারে বসে মাথা পিছনে হেলিয়েও দিতে পারেন।

এ বার কয়েক পোঁটা তেল নাকে দিয়ে জোরে টেনে নিন। কিছুক্ষণ এভাবে থেকে উঠে পড়ুন। এই থেরাপি কেবল নাকের প্যাসেজ এবং সাইনাস পরিষ্কার রাখে তা নয়, এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।

৫. বাকি মুখগহ্বর। রোজ যে পরিমাণে খাবার খান তাতে আপনার মুখের ভিতর জীবাণুর আঁতুড়ঘর। এর মধ্যে যদিও কিছু উপকারী ব্যাকটেরিয়াও আছে। যা খাবার হজম করতে সাহায্য করে। আয়ুর্বেদ বলছে, তার সংখ্যা অনেকটাই কম। এবং খারাপ জীবাণুর সংখ্যা অনেকটাই বেশি। 

তাই দাত এবং জিভ তেল দিয়ে পরিষ্কার করতে পারলে জীবাণু সংক্রমণ অনেকটাই কমে। আদি যুগে মাউথ ফ্রেশনার বা ফেশওয়াশ আবিষ্কৃত হয়নি। তখন সর্ষের তেলে নুন মিশিয়ে সবাই দাঁত মাজতেন। নিমের দাঁতনও করতেন। 

তারপর পাতলা কাপড়ে তেল মাখিয়ে জিভে ঘষে নিতেন। এতেও জিভের উপরে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার হয়ে যেত। আগে সদ্যজাতদের জিভ এভাবেই পরিষ্কার করা হত। সর্ষের তেল ছাড়াও দরকারে নারকেল তেল, তিলের তেল ব্যবহার করতে পারেন।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে