এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : অ্যামাজন গ্রেট ফ্রিডম ফেস্টিভ্যাল চলাকালীন স্মার্ট টিভিগুলির সবচেয়ে বড় দামের ড্রপগুলি উপভোগ করুন৷ স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া, মন কষাকষি হতেই পারে। এমনকী মনোমালিন্যের জেরে ক্ষণিকের জন্য বন্ধ হতে পারে কথাবার্তাও। এই ঘটনা দাম্পত্যে একদমই স্বাভাবিক। তাই সম্পর্কের এইসব ছোটখাট টানাপোড়েন নিয়ে বেশি মাথা না ঘামানোই ভালো।
তবে স্ত্রী যদি কথায় কথায় আপনার উপর চিৎকার করতে থাকেন, তাঁর চিৎকারের ঠেলায় যদি সকলের সামনে আপনাকে অসম্মানের ভাগীদার হতে হয়, তাহলে কিন্তু সতর্ক হতে হবে মশাই। কারণ আজ হয়তো এই বিষয়টি নিয়ে আপনি তেমন একটা ভাবিত নন। কিন্তু এমন একটা দিন আসবে, যখন স্ত্রীর এমন ব্যবহার আপনার মনে ঝড় তুলবে। আর সেই ঝড়ের দাপটে তখনছ হয়ে যেতে পারে সাজানো সংসার। তাই সংসারকে বাঁচাতে স্ত্রীর মানসিকতায় বদল আনা জরুরি।
সুতরাং আর দেরি না করে স্ত্রীর মেজাজকে নিম্মগামী করার, বশে আনার ৫ কৌশল সম্পর্কে জেনে নিন। আশা করছি, এই কয়েকটি টোটকা সঠিকভাবে ব্যবহার করলেই অর্ধাঙ্গীনির ভাবনায় বদল আনতে পারবেন।
১. কথা বলতে হবে বন্ধু: কথা বলে তো বিশ্বযুদ্ধও থামানো যায়, আর এটা তো কেবল আপনাদের সামান্য দাম্পত্য কলহ। তাই এই সমস্যাও যে কথা বললেই মিটিয়ে নেওয়া যাবে, তা তো বলাই বাহুল্য। সুতরাং এবার কাজে লেগে পড়ুন বন্ধু। আজ রাতেই স্ত্রীকে নিয়ে কোথাও ডিনারে যান। আর সেখানে গিয়ে তাঁকে খুবই নরম স্বরে আপনার সমস্যার কথাটা বলুন। আপনি যে তাঁর চিৎকারের সামনে বেশ অসহায় বোধ করেন, এটা তাঁকে জানাতে হবে। আর এতেই আপনার ভাগ্যের চাকা ঘুরলেও ঘুরতে পারে।
২. কথা নয় নীরাবতায়…: স্ত্রীর এই ধরনের কর্মকাণ্ড মেনে নিতে নিতে তাঁর ভয় ডর সব চলে গিয়েছে। তাই এখন তিনি সকলের সামনেও আপনার উপর চিৎকার করতে ভয় পান না। তবে আপনার হাতের কাছেই এই সমস্যার একটা দারুণ ওষুধ রয়েছে। তাই এরপর থেকে স্ত্রী চিৎকার শুরু করলেই আপনিও সুযোগ বুঝে মুখে কুলুপ এঁটে নিন। তিনি ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত কথা বলবেন না। একবার এই কৌশলটা মেনে চলুন বন্ধু, হাতেনাতে ফল পাবেন।
৩. রুখে দাঁড়ান: অনেক তো সহ্য করলেন, এবার অন্তত স্ত্রীর এমন ঔদ্ধত্বপূর্ণ আচরণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। কণ্ঠে দৃঢ়তা রেখেই তাঁর আচরণের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলুন। আশা করছি, আপনার প্রতিরোধের সামনে পড়ে তাঁর মনের সব আত্মবিশ্বাস ফুঁ হয়ে যাবে। আর আগামীদিনে তিনি এই ধরনের ব্যবহার করার আগে একবার হলেও ভাববেন। তবে এই ফাঁকে স্ত্রীর উপর অহেতুক চিৎকার করবেন না। এতে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না। তাই সব হিসাব করেই খেলায় নামুন।
৪. বয়েই গেল: এখন থেকে স্ত্রী চিৎকার শুরু করা মাত্রই আপনি সটান দরজা খুলে টো টো কম্পানি হয়ে যান। এই সুযোগে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মারুন। এতেই দেখবেন আপনার মন খুশ হয়ে যাবে। আর স্ত্রীও পাবেন সঠিক শিক্ষা। তিনি বুঝে যাবেন যে আপনার সঙ্গে এই ধরনের ব্যবহার করে আর পার পাওয়া যাবে না। তাই তিনি নিজেকে বদলে নিলেও নিতে পারেন। নইলে তো অন্য ব্যবস্থা নিতেই হবে।
৫. চিকিৎসকের পরামর্শ নিন: অনেক মহিলার ব্যক্তিত্বেই সমস্যা থাকে। তাঁরা ছোটবেলা থেকেই এই ‘হট’ মেজাজ নিয়ে বড় হন। এমনকী বড় হওয়ার পর তাঁদের রাগের ঝাঁঝ আরও বাড়ে। তাই এই পরিস্থিতিতে একজন বিশেষজ্ঞ মনোবিদের পরামর্শ নিয়ে ফেলুন। তিনিই স্ত্রীর সামগ্রিক সমস্যার কথা মাথায় রেখে আপনাকে মুক্তির পথ দেখাতে পারবেন। আশা করছি, আপনাদের দাম্পত্যে টিকে যাবে।