এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : দিনের বেলায় বাড়ি থেকে ফিটফাট হয়ে বেরোচ্ছেন কিন্তু সঙ্গে সানগ্লাস নেই, সেটা আবার হয় নাকি? কারন সানগ্লাস ছাড়া দিনের সাজটাই তো ইনকমপ্লিট।শীত হোক কিংবা গ্রীষ্ম, সানগ্লাস সবসময় ফ্যাশন ইন। তবে মুখের গড়ন ও গায়ের রঙের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সানগ্লাসের রঙ ও আকৃতি বাছা উচিত। বাজার ঘুরে পাওয়া গেল এরকমই কিছু টেন্ড্রি রোদচশমার খোঁজ। মুখের আকৃতি অনুযায়ী কি রকম সানগ্লাস মানাবে তার জন্য রইল বেশ কয়েকটা টিপস।
তবে এটি এমনই একটি ফ্যাশন অনুষঙ্গ, যা আপনার লুকে স্টাইলিশ আমেজ আনার পাশাপাশি চোখ দুটোকে রোদ এবং ধূলোবালির কবল থেকে রক্ষা করে।
১. ইদানীং এভিয়েটর এবং ক্লাবমাস্টার ফ্রেমের সানগ্লাস ছেলে-মেয়ে সবাইকে খুব পরতে দেখা যাচ্ছে। এছাড়াও এখন গোলাকার ফ্রেমের রোদচশমা পরারও চল হয়েছে। তবে চলতি ধারা অনুসরণ করতে গিয়ে বেমানান কোনো ফ্রেম বেছে নিলে চলবে না। কারন আপনাকে দেখতে হবে আপনাপ মুখে কোনটা মানাচ্ছে। এখন যেসব ফাঙ্কি ধরনের রোদচশমা চলছে, তা পাশ্চাত্য ধাঁচের পোশাকের সঙ্গেই মানানসই। এগুলোকে অনেকে বলছেন হ্যারি পটার ফ্রেম। অনেক তরুণী বেছে নিচ্ছেন প্রিন্টেট ও রংচঙে ফ্রেমের নানা রকম রোদচশমা। আন্তর্জাতিক ফ্যাশনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ক্যাটস আই এবং বাটারফ্লাই ফ্রেমের রোদচশমাও চোখে দিচ্ছেন অনেকে। একটু বড় ফ্রেমের ট্রেন্ড চলছে।
২. গোলগাল মুখে গোলাকৃতির ফ্রেম না পরে বরং ব্যবহার করা যেতে পারে ক্যাটস আই কিংবা এভিয়েটর ফ্রেমের চশমা। মুখ ডিম্বাকৃতি বা পানপাতার আকৃতির হলে মানিয়ে যাবে গোল ফ্রেমের রোদচশমায়। তবে কোন ফ্রেম মানাবে, সেই প্রশ্নে যেমন মুখের গড়নটা গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি চুলের স্টাইলের ওপরেও এটা অনেকটা নিভর্রশীল
৩. গ্লাসে এখন চড়া রংগুলো খুব ট্রেন্ডি। সবুজ, নীল, কমলার মতো গাঢ় রং এখন রোদচশমার গ্লাসে নজরে পড়ছে। দেখা যাচ্ছে কয়েক শেডের ব্যবহারও।
৪. হাফ রিমলেস বা ক্লাব মাস্টার ফ্রেম আনুষ্ঠানিক বা ঘরোয়া, দুই ধরনের লুকেই মানিয়ে যায়। তবে এভিয়েটর ফ্রেম ছেলেদের আনুষ্ঠানিক পোশাকের সঙ্গেই বেশি মানানসই।
বাজারে এখন পাওয়া যাচ্ছে ফুলেল, চেক, টাইগার, ডোরাকাটা ইত্যাদি নানা প্রিন্টের রোদচশমা। কোনো কোনো এক রঙা ফ্রেমের চশমার শুধু ডাটি দুটি থাকছে প্রিন্টের। গাঢ় রঙের মার্কারি সানগ্লাস যারা পরতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না, তারা হালকা রঙের গ্লাসের রোদচশমাও পাবেন। তবে সানগ্লাস কেনার ক্ষেত্রে এর মান যাচাই করা খুব জরুরি। তা না হলে স্টাইল হয়তো ঠিকমতোই হবে, কিন্তু সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে চোখ বাঁচানো যাবে না।