এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: আগেকার দিনে রাজা-রাজড়াদের হাতিশালে হাতি কিংবা ঘোড়াশালে ঘোড়া থাকত। ঠিক তেমন ভাবেই তার গাড়িশালে রয়েছে কয়েকশো বিলাসবহুল গাড়ি। এখানেই শেষ নয়, তালিকা আরও লম্বা! রয়েছে ৩৮টি বিমানও।
আর সবথেকে আকর্ষণীয় অনন্য হল ৫২টি নৌকা। যা সম্পূর্ণ রূপে সোনা দিয়ে তৈরি। আর এই সব যানবাহনের বার্ষিক জ্বালানির খরচ প্রায় ৫২৪ কোটি টাকা। থাইল্যান্ডের রাজার বিত্ত-বৈভবের চর্চা এখন বিশ্ব জুড়ে! আজ শুনে নেওয়া যাক তার বিলাসবহুল জীবন এবং সম্পত্তির কাহিনী।
থাইল্যান্ডের রাজার নাম রামা এক্স। তার আসল নাম অবশ্য রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন। সংবাদমাধ্যম সূত্র বলছে, থাইল্যান্ডের রাজ পরিবারের সম্পদের পরিমাণ শুনলে সাধারণ মানুষের চোখ কপালে উঠবে! কারণ সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩.৭ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি। আর এই কারণে বিশ্বের ধনী রাজাদের তালিকায় জ্বলজ্বল করে থাই রাজার নামও। দেশটির প্রায় ১৬,২১০ একর জমির মালিক রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন। এই সব জমিতে রয়েছে মল, হোটেলসহ একাধিক সরকারি ভবন।
এখানেই শেষ নয়, থাই রাজা আবার দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যাঙ্ক অর্থাৎ সিয়াম কমার্শিয়াল ব্যাঙ্কের ২৩ শতাংশের শেয়ারের মালিক। শুধু তাই নয়, দেশের বৃহত্তম শিল্প সংস্থা সিয়াম সিমেন্ট গ্রুপের ৩৩.৩ শতাংশ শেয়ারেরও মালিক তিনি। থাইল্যান্ডের রাজার আবার গাড়ির শখও সর্বজনবিদিত।
এই কারণে তার সংগ্রহে আছে তিনশোটিরও বেশি গাড়ি। রয়েছে ২১টি হেলিকপ্টারসহ ৩৮টি বিমানও। এর মধ্যে বোয়িং, এয়ারবাস বিমান এবং সুখোই সুপারজেট অন্যতম। বিমানের জ্বালানি ও রক্ষণাবেক্ষণেই বছরে প্রায় ৫২৪ কোটি টাকা খরচ করেন রাজা।
গাড়ির বড়সড় কনভয়ে রয়েছে লিম্যুজিন, মার্সিডিজ বেঞ্জসহ নানা বিলাসবহুল মূল্যবান গাড়ি। আর এই রাজ পরিবারের প্রাচীনতম নিদর্শন হল রাজকীয় নৌবহর। এই নৌবহরের প্রত্যেকটি নৌকায় রয়েছে সোনার খোদাই। যা সুফনাহং নামে পরিচিত।
রাজ পরিবারের প্রাসাদটির নাম আবার গ্র্যান্ড প্যালেস। ১৭৮২ সালে নির্মিত এই প্রাসাদটি প্রায় ২৩৫১০০০ বর্গফুট জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। তবে এই প্রাসাদে কিন্তু রাজা বাস করেন না। বরং সেখানে রয়েছে সরকারি অফিস আর জাদুঘর। তবে থাই রাজার কাছে থাকা সম্পত্তির তালিকায় সবথেকে আকর্ষণীয় হল তার মুকুটটি।
থাইল্যান্ডের রাজার এই মুকুটে খচিত রত্নের মধ্যে ৫৪৫.৬৭ ক্যারাটের একটা গোল্ডেন জুবিলি হিরেও রয়েছে। আর এটাই হল বিশ্বের সবথেকে বড় এবং মূল্যবান হিরে। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, এই হিরের মূল্য প্রায় ৯৮ কোটি টাকা!