বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৩, ০৯:৪৯:২৯

চারশ বছরের এই বটগাছের পাতা কেউ জ্বালালে তার জ্বর আসে!

চারশ বছরের এই বটগাছের পাতা কেউ জ্বালালে তার জ্বর আসে!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : একটি বটগাছ যেন একটি ইতিহাস। সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের চান্দাইকোনা ইউনিয়নের সরাইদহ চরপাড়া গ্রামে প্রায় সাড়ে চার বিঘা জমি জুড়ে বিস্তৃত একটি বটগাছ কালের সাক্ষী হয়ে দীর্ঘ প্রায় চারশ বছর ধরে দাঁড়িয়ে আছে।

স্থানীয়দের ভাষ্য, প্রাচীন বটগাছটিকে নিয়ে প্রচলিত আজব সব কথাবার্তা শোনা যায়। বটগাছের পাতা বা ডালপালা জ্বালানি হিসেবে কেউ ব্যবহার করলে তার গায়ে জ্বর আসে। কথিত আছে, এ গাছের নিচে প্রসাব বা মলত্যাগ করলে তারা নানা রকম রোগে আক্রান্ত হয়। তাই বৃক্ষটির নিচে পরিষ্কার পরিছন্ন রাখতে সকলেই সচেতন থাকে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, গাছটির শাখা, প্রশাখা ডালপালা মাটির সঙ্গে মিশে এক অপূর্ব দৃশ্যের রূপ নিয়েছে। শীতল ছায়া আর পাখির কলকাকলি সেইসঙ্গে সবুজ শ্যামল এই বটগাছের নিচে যে কেউ এসে বসলে মনের সব ক্লান্তি দূর হয়ে যায়।

পথচারী আর স্থানীদের সঙ্গে দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে বটগাছের অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য। সৌন্দর্য এক নজর দেখতে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসে উপজেলার ভূয়াগাতী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন স্থানে দাঁড়িয়ে থাকা কালের স্বাক্ষী ৪শত বছরের পুরো বট বৃক্ষটির পাশে।

স্থানীয় জানায়, বৃক্ষটির ছড়িয়ে থাকা একেকটি শাখা ও প্রশাখা দেখলেই মনে হয় পরম মমতায় বাড়িয়ে দেওয়া হাত।  একটা সময় বটতলায় অনেক সাধু-সন্ন্যাসী ধ্যানে মগ্ন হতেন। এখন তাদের দেখা না মিললেও হিন্দু-মুসলমান উভয় ধর্মের মানুষই গাছটি দেখতে আসেন। অনেকে আবার মানত পূরণ করার জন্য আসেন।

তারা জানায়, শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নয় পুরানো প্রাচীন বটতলায় প্রতিবছর জৈষ্ঠ মাসের তৃতীয় মঙ্গলবার চরপাড়া মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। প্রতিটি বাড়িতে তখন শ্বশুর বাড়ি থেকে আসা মেয়ে ও জামাইসহ অতিথিদের উপচেপড়া ভিড় থাকে। মেলায় হিন্দু ও মুসলিমসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেয়। মেলাতে থাকে গ্রাম বাংলার ঝুড়ি, বুন্দি,জেলাপি, গজা, কদমা, খাজা, খুরমা, দই, ঘোলসহ  বিভিন্ন রকম মিষ্টির দোকান। তাছাড়াও মেলায় থাকে নাগরদোলা, লাঠিখেলা ও ছুড়িখেলাসহ বিভিন্ন খেলা। এতে অনন্দে মেতে ওঠে মেলায় আগতরা।

স্থানীয় ভূয়াগাতী গ্রামের নিরঞ্জন চন্দ্র শীল ও সরাইদহ চরপাড়া গ্রামের লোকমান হোসেন জানান, দাদার মুখে শুনেছি গাছটির বয়স প্রায় ৪শ বছর। 

চান্দাইকোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান খান জানান, এই এলাকার সড়ক ব্যবস্থায় ভালো থাকায় এ অঞ্চল একটি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে। 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে