এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : টাচ স্ক্রিনের ইতি টানতে চলেছে গুগল। ডিজিটাল স্ক্রিনে আঙুলের স্পর্শে কাজ করার দিনও খুব শিগগিরই নম্বর ঘুরিয়ে ফোন করার মতো পুরনো হয়ে যাবে। যদি গুগল পরিকল্পনার পথে এগোতে থাকে, তবে স্মার্টফোন-ট্যাব বা অন্য কোনো স্ক্রিন আর কোনোদিন হাতের স্পর্শ পাবে না।
গুগলের গবেষণাগার তাদের ভবিষ্যতের প্রজেক্ট দেখিয়েছে। সেখানে বাতাসে আঙুলের ইশারাতে ভার্চুয়াল দুনিয়ার যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করা যাবে।
এ প্রজেক্টকে ‘সোলি’ বলে ডাকছেন তারা। আঙুলের মাইক্রো মোশনে বাতাসে রাডার ওয়েভের ব্যবহারে ডিজিটাল পর্দায় যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করা হবে।
‘মাইনোরিটি রিপোর্ট’-এর মতো সায়েন্স ফিকশন ছবিতে এ ধরনের কাজ করতে দেখা যায়। সিনেমার কাহিনী বাস্তব হতে চলেছে গুগলের হাত ধরে।
গুগলে অ্যাডভান্সড টেকনলজি অ্যান্ড প্রজেক্টস ল্যাব-এ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কাজ চলছে। এটি ভবিষ্যতের প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে যার পরিচালনায় রয়েছেন রেজিনা ডুগান।
‘সোলি’ প্রযুক্তির একটি প্রোটোটাইপ দেখিয়েছে গুগল যা সবার নজর কেড়েছে। বুড়ো আঙুল ও তর্জনির ব্যবহারে চিমটি কাটা বা নির্দিষ্ট গতিতে তাদের ঘর্ষণের মাধ্যমে পর্দায় অনেক নির্দেশ পাঠানো যায়।
ডেমো-তে গুগলের প্রজেক্ট সোলি’র প্রতিষ্ঠাতা আইভান পোপাইরেভ একটি ভার্চুয়াল সকার বলকে পর্দায় স্পর্শ না করেই কিক দিলেন। একইভাবে সুইচ ঘুরিয়ে শব্দের ভলিউম বাড়ানোর জন্যে বাতাসে বুড়ো আঙুল ও তর্জনীর ঘর্ষণ দিলেই তা বেড়ে যায়। ইতিমধ্যে আঙুলে ধরা যায় এমন একটি চিপ তৈরি করা হয়েছে সোলি প্রজেক্টের জন্যে।
স্মার্টওয়াচের মতো দেহে পরিধানযোগ্য প্রযুক্তিপণ্য যেহেতু জনপ্রিয় হয়েছে, কাজেই এগুলোতেও ব্যবহারের যোগ্য করা হচ্ছে ‘সোলি’কে।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অকুলাসকে ২০১৪ সালে ২ বিলিয়ন ডলারে কিনে নেয় ফেসবুক। সেখানেও একই ধরনের অগ্রগতির কথা বলা হয়েছিল।
তবে এই প্রযুক্তি দিয়ে পণ্য বানানো হবে, না অন্য কোনোভাবে ব্যবহার করা হবে তা এখনো পরিষ্কার করেনি গুগল।