এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ৬টি খাবারের তুলনা নেই। এই ৬ধরনের খাবার নিয়মিত গ্রহণ করলে মানুষের শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাহলে কি সে খাবার? আসুন জেনে নেয়া যাক এগুলো কী কী-
কমলা
কমলালেবু তে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি৷ প্রতি ১০০ গ্রামের মধ্যে ৫০ মিলিগ্রামই ভিটামিন সি থাকে৷ ফিগার সচেতনদের জন্য বলছি, এই ফল শুধু খেতেই মজা নয়, এতে রয়েছে খুবই কম ক্যালোরি৷ এক গ্লাস কমলার রস প্রতিদিন সকালে পান করলেই দিনের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-র অভাব পূরণ হয়ে যাবে৷ তবে শুধু কমলার রস নয়, ভেতরের সাদা অংশে থাকে যথেষ্ট আঁশ, তাই পুরো কমলা খেলে আরো বেশি উপকার পাবেন৷
কপি
যে কোনো কপিই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী৷ সবচেয়ে ভালো পাতাকপি বা সবুজ কপি৷শরীরের রোগপ্রতিরোধ বাড়াতে শুধু ভিটামিন এ, সি এবং ই রয়েছে কপিতে, তা নয়৷ রয়েছে ‘পলিফেনল’৷ তবে রান্না করার সময় কপি পুরো সেদ্ধ না করে আধা সেদ্ধ করবেন৷ এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এতে পুরো খাদ্যগুণ বজায় থাকে৷ ‘‘এ সব খাবার সারা বছর সচেতনভাবে খেলে ঋতু পরিবর্তনের সময়ও কারো কোনো সমস্যা হয় না৷’’ বলেন, বন শহরের খাদ্য বিশেষজ্ঞ আনিয়া গাল৷
দই
দুধ এবং দুধের তৈরি দইয়ে থাকা ‘ল্যাকটিক অ্যাসিড’ ব্যাকটেরিয়া, যা পেট বা অন্ত্র পরিষ্কার রাখে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে ‘ইমিউন সিস্টেম’-কে আরো শক্তিশালী করে৷ তবে কৃত্রিম উপায়ে তৈরি বা মিষ্টি দই না খেয়ে প্রকৃতিক উপায়ে তৈরি টক বা সাদা দই, মানে ঘরে পাতা দই খাওয়াই উত্তম!
রসুন
রসুনে রয়েছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর মতো ‘অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট’, ‘সেলেনিউম’সহ বেশ কয়েকটি উপাদান৷ নিয়মিত রসুন খাওয়া পাকস্থলীর নানা সমস্যা, অর্থাৎ ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক থেকে রক্ষা করে৷ প্রতিদিন দুই বা তিন কোয়া কাঁচা রসুন থেতলে বা অল্প গরম করে খেলে ভালো৷ রসুন বেশি সময় ধরে রান্না করলে তার খাদ্যগুণ কমে যায়৷ রসুনে রয়েছে আঁশ, ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও প্রোটিন৷
চা
চা পান করতে ইচ্ছে করছে? কোনো অসুবিধা নেই, কারণ চা স্বাস্থ্যকর এবং ভেতর থেকে শরীরকে গরমও রাখে৷ বিশেষ করে সবুজ চা, কালো এবং সাদা চা৷ এতে থাকা ‘পলিফেনল’ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়৷ এছাড়া সবুজ চায়ে থাকা ‘অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট’ রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে৷ তবে কেউ চাইলে সামান্য ঠান্ডা চা-তে মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন৷ এতে থাকে ‘অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল’ উপাদান৷
মুরগির স্যুপ
তারপরও যদি কাউকে ঠান্ডা ধরেই ফেলে তাহলে দাদি, নানিদের রেসিপি অনুকরণ করতে পারেন, যা অ্যামেরিকান গবেষকরাও খুঁজে পেয়েছেন৷ ঠান্ডায় মুরগির স্যুপ পান করুন, এতে স্বাসনালীর কষ্ট তো দূর হবেই, এছাড়া গরম স্যুপের ভাপ গলার খুসখুসে ভাবটাও কমিয়ে দেবে৷