এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : কোলেস্টেরল রোগীদের জন্য আপেল খাওয়া খুবই উপকারী । আপেলে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরে জমে থাকা খারাপ কোলেস্টেরল দূর করতে পারে।
কোলেস্টেরল রোগীদের জন্য আপেল খাওয়া খুবই উপকারী । আপেলে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরে জমে থাকা খারাপ কোলেস্টেরল দূর করতে পারে। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে নিয়মিত আপেল খেলে কোলেস্টেরলের সমস্যা থেকে অনেকাংশে মুক্তি পাওয়া যায়।
উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা বর্তমানে মহামারীর মতো বাড়ছে। বিপুল সংখ্যক মানুষ এর শিকার হচ্ছে। শারীরিক পরিশ্রম ছাড়াও জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে তরুণদের মধ্যে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ছে। কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে তা রক্তের ধমনীতে জমা হয় এবং রক্ত প্রবাহকে প্রভাবিত করে। এর ফলে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক হতে পারে।
উচ্চ কোলেস্টেরল কমাতে আপেল খাওয়া খুবই কার্যকরী। এই ফলটি খেতেও যেমন সুস্বাদু তেমনই পুষ্টির ভাণ্ডার । আপেল আমাদের শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল গলিয়ে তা দূর করতে সাহায্য করে। আপেল খেলে কীভাবে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়৷ প্রতিদিন কতগুলি আপেল খাওয়া উচিত, তা সবার আগে জেনে নিতে হবে৷
ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিয়মিত আপেল খেলে খারাপ কোলেস্টেরলের (এলডিএল) মাত্রা অনেকাংশে কমানো যায়। আপেল বায়োঅ্যাকটিভ পলিফেনল এবং ফাইবার সমৃদ্ধ, যা রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে পারে। আপেল খাওয়া শরীরের লিপিড বিপাক এবং কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যকে শক্তিশালী করে।
২০১২ সালে আমেরিকায় করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে ৪ সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন একটি বা দুটি আপেল খাওয়া খারাপ কোলেস্টেরলকে অনেকাংশে কমাতে পারে। একটানা আপেল খাওয়ার পর এই গবেষণায় জড়িত মধ্যবয়সী মানুষের কোলেস্টেরলের মাত্রা ৪০ শতাংশ কমে গেছে। সকালে বা দিনের যেকোনও সময় আপেল খাওয়া উপকারী বলে মনে করা হয়।
গবেষকদের মতে, আপেলের মধ্যে যে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, তা পলিফেনল যুক্ত ক্যাপসুল গ্রহণ করলেও আপেল খাওয়ার মতো কোলেস্টেরলের মাত্রা কমেনি। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ ছাড়াও আপেল খেলে স্বাস্থ্যের অনেক উপকার পাওয়া যায়।