নেত্রকোনা : একটি মহাশোল মাছ বিক্রি হয়েছে ৫০ হাজার টাকায়। ১৭ কেজি ওজনের মাছটি সোমবার নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে ধরা পড়ে। পরে বাজারে মাছটি বিক্রি হয়। সোমবার বেলা ১১টার দিকে পুকুরে জেলে নামানো হলে জালে আটকা পড়ে ওই বড় মহাশোল মাছটি। ধরার পর মাছটির ওজন মেপে দেখা যায়, ১৭ কেজি ৫০ গ্রাম।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, নয়াপাড়া গ্রামের কৃষক সজল মিয়া (৪৮) দুই বছর আগে কলমাকান্দা উপজেলার পাহাড়ের কাছের নদীর জেলেদের কাছ থেকে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির ১৩টি মহাশোল মাছ ৩৬ হাজার টাকায় কিনে আনেন। এর মধ্যে একটির ওজন ছিল প্রায় ছয় কেজির মতো। বাকি মাছগুলোর ওজন ২৫০ থেকে ৩০০ গ্রামের মতো ছিল। তিনি মাছগুলো তার ৬৮ শতাংশ আয়তনের পুকুরের ছেড়ে দেন।
বাড়ির কাছে তেগুরিয়া বাজারে মাছটি বিক্রির জন্য নেয়ার পর দাম চাওয়া হয় ৬৫ হাজার টাকা। পাশের গ্রাম ইরাকান্দা, নয়াপাড়া, নিশ্চিন্তপুর ও তেগুরিয়া বাজারের জিয়া উদ্দিন (৩৮), গোলাপ মিয়া (৩৮), জামাল মিয়া, আলতু মিয়া (৩২), সজল মেম্বারসহ প্রায় ৪০ / ৪৫ জন মিলে মাছটি কিনে নেন। প্রতিটি ভাগার দাম পড়ে এক হাজার টাকা। মাছটি কেটে সমান ৫০টি ভাগে ভাগ করা হয়। অনেকে একাধিক ভাগ কিনে নেন। নিশ্চিন্তপুর গ্রামের গোলাপ ফকির বলেন, তিনি তিন হাজার টাকা দিয়ে মাছের তিনটি ভাগ কিনেছেন।
তেগুরিয়া বাজারের শহিদুল ইসলাম বলেন, এ মাছটি বাজারে নিয়ে এলে হইচই পড়ে যায়। সবাই মাছটি দেখতে আসে। এ মাছ এখন আর সচরাচর দেখা যায় না। ২০-২৫ বছর আগে কলমাকান্দা পাহাড়ি এলাকার নদীতে জেলেদের জালে এ মাছ ধরা পড়ত।
মাছ বিক্রেতা সজল মিয়া বলেন, দুই বছর আগে বন্যার সময় কলমাকান্দার পাহাড়ের কাছে নদীতে জেলেদের কাছ থেকে ৩৬ হাজার টাকায় ১৩টি মাছ কিনি। আজ জেলেরা একটি মাছ ধরেছে সেটির ওজন ১৭ কেজির ওপরে ছিল।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, অনুকূল পরিবেশ পেলে পুকুরেও মহাশোল মাছ দ্রুত বাড়ে। কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে এই মাছটি এখন চাষ হচ্ছে। এতে চাষিরা অনেক লাভবান হন।-প্রথমআলো