এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ডায়াবেটিস টাইপ ২-এ আক্রান্ত হচ্ছেন ছোট বড় অনেকেই৷ খাওয়া-দাওয়া ও কিছু নিয়ম মেনে চললেই এই রোগটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে৷ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর খাবারগুলো কখনোই খাওয়া ঠিক হবে না।
আগে শোনা যেত ডায়াবেটিস নাকি বংশগত এবং শুধু বুড়োদের অসুখ৷ জার্মান সেন্টার ফর ডায়াবেটিস রিসার্চ ডিজেডডি’র এক সমীক্ষার ফলাফলে জানা গেছে, জার্মানিতে আনুমানিক ৬ মিলিয়ন ডায়াবেটিস টাইপ ২ রোগীদের মধ্যে বেশির ভাগ রোগীর বয়সই ৪০-এর নিচে৷ এ রোগে শিশু-কিশোর, তরুণ সবাই আক্রান্ত হচ্ছে৷ এর প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে কম্পিউটার এবং ফাস্টফুড৷
ফাস্টফুড : প্যাটিস, বার্গার বা পিৎসার মতো ফাস্টফুডে লুকিয়ে থাকে অনেক চিনি যা সেভাবে বোঝা যায় না৷ আর এসব ফাস্টফুড খাওয়ার কারণে অনেকেরই শিশু বয়সেই থাকে অতিরিক্ত ওজনের সমস্যা৷ তাই তৈরি খাবার বা ফাস্টফুড থেকে একেবারেই দূরে থাকুন, ছোট বড় সবাই৷
মিষ্টি বা চিনিকে না বলুন : জার্মান ইনস্টিটিউট ফর হিউম্যান নিউট্রিশনের প্রধান ডা. হান্স গেয়র্গ ইয়োস্ট বলেন, চিনি অন্যান্য শর্করা জাতীয় খাবারের চেয়ে মোটা করে বা ওজন বাড়ায় অনেক বেশি৷ কারণ ডায়াবেটিস রোগীদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরি৷ তাই ডায়াবেটিস রোগীরা লোভনীয় সব মিষ্টি খাবার থেকে দূরে থাকুন৷
সাদা চাল আটা বা আলু : সাদা চালের পরিবর্তে লাল চাল খান৷ আর সাদা আটা বা ময়দার পরিবর্তে ব্রাউন আটা বা দানা ও বীজযুক্ত রুটি খাবেন৷ আর সাদা আলুর বদলে মিষ্টি আলু বেছে নেয়া শ্রেয়৷ আঁশযুক্ত খাবার, বিভিন্ন দানা বা বিচি খাবেন৷ ডায়াবেটিস রোগীরা তিন বেলার খাবার পাঁচবেলা ভাগ করে খান এবং সকালের নাস্তা যেন কখনো বাদ না যায়৷
কলা বা অন্যান্য ফল : কলাকে আমরা খুবই স্বাস্থ্যকর ফল হিসেবেই চিনি, যা সারাবছর পাওয়া যায় এবং কেনার সামর্থ্য প্রায় সবার নাগালের মধ্যেই৷ কলা এবং বিভিন্ন রকমের বাঙিফল ফলগুলোতে থাকে প্রচুর পরিমাণ প্রাকৃতিক চিনি বা ফ্রুকটোজ যা শরীরে সুগারের মাত্রা বাড়ায়৷ পরিবর্তে ডায়াবেটিস রোগীরা খেতে পারেন আপেল, নাশপাতি, ব্লুবেরি ইত্যাদি ফল৷
ফলের রস বা মিষ্টি পানীয় : এসবে থাকে প্রচুর পরিমাণ চিনি এবং ক্যালরি, যা খুব তাড়াতাড়ি শরীরে সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়৷ তরুণরা এসব পানীয় পছন্দ করলেও ডায়াবেটিসের কথা মাথায় রেখে এসব থেকে দূরে থাকুন৷
সব শাক-সবজি : যে খাবারের জিআই অর্থাৎ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যত বেশি, ডায়াবেটিস রোগীর জন্য তা ততটাই খারাপ৷ সাধারণত শাক সবজিতে আঁশের পরিমাণ বেশি বলে রক্তে মিশতে একটু বেশি সময় লাগে৷ তবে মিষ্টি কুমড়াতে জিআই অনেক বেশি। ফলে এসব সবজি অন্য সবজির সাথে মিশিয়ে খাওয়া ভালো৷