এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : করলা চাষ করতে পারেন আপনার বাড়ির ছাদে বা বারান্দায়। একবার চাষ করলে বারোমাস পাবেন টাটকা ভেজালহীন করলা। ভাবছেন অনেক ঝক্কির বিষয়? একেবারেই না। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এই গরমকালই হলো করলার বীজ বোনার সঠিক সময়। বাম্পার ফলনের জন্য কিভাবে করবেন তা আজ আপনাদের জন্য স্টেপ বাই স্টেপ লিখছি।
করলা চাষ করতে কি কি লাগবে:
মাটি (যেকোনো মাটিতে চাষ করা যায়, দোআঁশ বা বেলে দো-আঁশ মাটি হলে সবচেয়ে ভালো)
একটা বড় মাপের টব
করলার বীজ
জল
গোবর সার
জৈবসার
করলা চাষের প্রথম ধাপ : বীজ পোতার এক সপ্তাহ আগে মাটি রেডি করে রাখবে হবে। যে টবে বা ড্রামে করলা গাছ লাগাবেন তাতে মাটি, গোবর সার আর জল দিয়ে ভালো করে মিক্সচার বানিয়ে রাখুন। এক সপ্তাহ পর মাটি ঝরঝরে হয়ে যাবে। হয়ে গেলে মাটি ওলট পালট করে দিন। এবার তাতে করলার বীজ পুতে উপর থেকে মাটি দিয়ে ঢাকুন। মাটি চাপা দিয়ে হাত দিয়ে তা সমান্তরাল করে দিন। বীজ পোঁতা হয়ে গেলে উপর থেকে জল দিয়ে দিন। খেয়াল রাখবেন মাটি জাস্ট ভেজানোর মত করে জল দিতে হবে। বেশি জল দিলে বীজ নষ্ট হয়ে যাবে।
বীজ বপনের পর রোজ অল্প অল্প করে জল দিয়ে যাবেন। জল দেওয়ার সময় খেয়াল রাখবেন জল যেন জমে না যায়। তাহলে গাছ হবে না। সামান্য পরিমান জল রোজ সকাল বিকেল দিতে থাকুন। করলার চারা গজাতে ২০ থেকে ২৫ দিন মত সময় লাগে। চারা গাছ জন্মালে জৈবসার সপ্তাহে একবার করে দিন। টবের মধ্যে অন্য কোন আগাছা জন্মালে তা তুলে ফেলে দিন। রোজ অল্প অল্প জল দিন।
চারা গাছ জন্মানোর ৪০ দিন পর থেকে এতে ফুল আসতে শুরু করবে। এই সময় টবে একটা লাঠি দিয়ে দেবেন। বা এমন জায়গায় টব রাখবেন যেন গাছ একটা সাপোর্ট পায়। করলা গাছ লতানো উদ্ভিদতাই মাচা করে দিলে তা বেয়ে গাছ ছড়িয়ে পড়তে পারে। ফলন ভালো হয়।
ফুল আসার এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে দেখবেন ছোট ছোট ফল জন্মাতে শুরু করেছে। করলা গাছ চাষ করার সময় থেকে ঠিক দুইমাস পর ফল তোলা যায়। তাই এই দুই মাস আপনাকে একটু সময় দিতে হবে গাছের যত্ন নেওয়ার জন্য। জৈবসার ও জল সঠিক ভাবে দিয়ে যেতে হবে। চাইলে লিকার চায়ের পাতা এক সপ্তাহ ধরে জমিয়ে রেখেও দিতে পারেন। এতে খুব ভালো কাজ হয়।
তাহলে অবসর সময়কে খরচ করতে আর নিজের ছাদেই করলা চাষ করতে হলে আর ভাবার প্রয়োজন নেই। গাছ চাষের নেশা এমনই যে দেখবেন আপনার ছাদে ছোট বাগান তৈরি হয়ে গিয়েছে। একবার ফল দেওয়াশুরু করলে আরও কত কি-না চাষ করতে মন চাইবে, ধনেপাতা চাষ কিংবা টম্যাটো।