এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: দেশটির সরকার বরাবরই জনগণকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হতে বলছে। জনগণ অবশ্য সরকারের এ আহ্বানে সাড়া দিয়েছে। আগের চেয়ে অনেকে বিদ্যুৎ কম খরচ করে তারা। কিন্তু হঠাৎ করে এক বাড়িতে মাস শেষে বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৬৭ কোটি টাকা। ভাবা যায়! যেখানে কয়েকটি শিল্প কারখানা মিলেও এই বিদ্যুৎ বিল আসবে না। সেখানে মাত্র দুই বেডরুম ওয়ালা একটি বাড়িতে বিল এসছে ৬৭ কোটি টাকা।
এমনই এক অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটেছে ভারতের ঝাড়খন্ড-রাজ্যের রাজধানী রাঁচির কাদরু এলাকায়। সেখানে ২ বেডরুমের একটি বাড়িতে বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৫৫ কোটি ভারতীয় রুপি বা বাংলাদেশী মুদ্রায় ৬৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা। ওই বাড়িতে ৫ জনের বসবাস। একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে কয়েকদিন আগে রাঁচিতে কৃষ্ণ প্রসাদ তার বাড়িতে ফিরলেন। বাড়িতে ফিরে ভৌতিক এ বিল দেখে তার চোখ ছানাবড়া। ঠিক দেখছেন তো! নাকি দৃষ্টি-বিভ্রম ঘটলো। নাহ- ভুল তো তিনি দেখেননি! সবাই সেটাই দেখছে, যেটা তিনি দেখছেন।
বিদ্যুৎ বিলের কাগজটাতে নজর বোলাতেই সবার চোখ তখন একসঙ্গেই কপালে উঠে গেছে। ক্ষোভে ফুঁসতে থাকা কৃষ্ণ প্রসাদ বলছিলেন, আপনি জানেন- এ কারণেই আ্মার মা মৃত্যুবরণ করতে পারতেন!
প্রসাদের মায়ের বয়স ৫৫ বছর। তিনি বলছিলেন, আমি বিদ্যুৎ বিলটি দেয়ার সঙ্গে সম্পৃক্তদের আদালতে নিয়ে যাবো। মধ্যবিত্ত অন্য ১০টি পরিবারের মতোই প্রাণান্তকর এ গরমের মধ্যেও প্রসাদের বাড়িতে নেই কোন এয়ার-কন্ডিশনার। এখানেই তো শেষ নয়। গ্রীষ্মের দুঃসহ গরমে শহরের অধিকাংশ অংশে লোডশেডিংয়ের সমস্যা প্রকট। এ বছরেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। প্রতিদিন প্রায় ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত থাকছে না বিদ্যুৎ। তার ওপর এহেন ভৌতিক বিল যে বাড়াবাড়ি মাত্রায় অন্যায়, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
বিলের ঘটনায় ব্যবস্থা হিসেবে ঝাড়খ- বিদ্যুৎ বিভাগ এরই মধ্যে ২ কর্মচারীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে। বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিলটি লেখার সময় কোনভাবে ভুলটা হয়ে গেছে। বিদ্যুৎ বিল বিতরণের পুরো কাজটি চুক্তির মাধ্যমে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ওপর ন্যস্ত করেছে ঝাড়খ- বিদ্যুৎ বিভাগ। বিদ্যুৎ বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা বলছেন, তারা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছেন।
সূত্র: এনডিটিভি