এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : সারাদিনে স্মার্টফোন দিয়েই চলে নানান কাজ। আপদকালীন সময় হোক কিংবা অবসর সময় সব ক্ষেত্রেই সঙ্গ দেয় আমাদের স্মার্টফোন। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে অনলাইন শপিং, সিনেমা, খবর, গেম হেন কোনও কাজ নেই যা স্মার্টফোনে করা যায়না। কিন্তু এখান থেকেই শুরু হয় বিপদ।
স্মার্টফোন ব্যবহারের সময় একাধিক ভুল কাজ করে থাকি আমরা। যা সময় থাকতে না শোধরালেই বিপদ। ডেকে আনতে পারে বড় অঙ্কের খরচ। তাছাড়া স্মার্টফোন অচল হয়ে পড়লে পুরো দুনিয়াটাই যেন অন্ধকার হয়ে যায়। সিনেমা, সোশ্যাল মিডিয়া তো দূর কারও খোঁজ টুকুও নেওয়া যায়না। তাই স্মার্টফোনের সঙ্গে এই 8 ভুল একদম নয়।
স্মার্টফোনের সফটওয়্যার আপডেট এড়িয়ে যাওয়া: নতুন স্মার্টফোন কেনার পর অনেকেই আছেন যারা আপডেট বছরের পর বছর এড়িয়ে যান। মনে রাখতে হবে, এই সফটওয়্যার আপডেটে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য দেওয়া থাকে যা আপনার ফোনে ম্যালওয়্যার ভাইরাস প্রবেশ করতে বাঁধা দেয়। পাশাপাশি পাওয়া যায় একগুচ্ছ নতুন ফিচার্স। যা আপনার স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আরও ভালো করে। স্মার্টফোন হ্যাং হয়ে যাওয়াও বন্ধ হয়।
অ্যাপকে ফোনের সব পারমিশন দেওয়া: প্লে স্টোর থেকে নতুন অ্যাপ ইন্সটল করার পর সেটি বেশ কিছু জিনিসের অ্যাক্সেস চায় আপনার থেকে। কিছু হয় প্রয়োজনীয় যা ওই অ্যাপ অপারেট করার জন্য দরকার আবার কিছু থাকে অবাঞ্চিত। আর এখানেই ভুল করেন অধিকাংশ মানুষ। পারমিশনের নামে আপনার ফোনে থাকা বিভিন্ন ব্যক্তিগত ফাইলের অ্যাক্সেস পেয়ে যায় তারা। তাই নতুন অ্যাপ ইন্সটল করার আগে যাচাই করুন তারা কি কি পারমিশন চাইছে।
অন্যের চার্জার/কেবিল ব্যবহার: অনেকে জেনেও এই ভুল করে থাকেন। অন্যের চার্জারে নিজের স্মার্টফোন চার্জ দিলে ক্ষতি হতে পারে ব্যাটারি। চোখে না পড়লেও ভিতর ভিতর বিকল হয়ে যায় ফোনের হৃদপিন্ড। বর্তমানে অধিকাংশ ফোনে ইউএসবি টাইপ-সি চার্জিং পোর্ট ব্যবহার করা হয়। তা সত্ত্বেও অন্য প্রযুক্তির চার্জার দিয়ে চার্জ করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। স্মার্টফোনের আয়ু কমে যেতে পারে এর ফলে।
সারা রাত চার্জিং: আরও একটি কমন ভুল। যা স্মার্টফোনের সঙ্গে প্রায় সকলেই করেছেন। বর্তমানে একাধিক ফোনে ব্যাটারি হেলথ নিয়ন্ত্রণ করার প্রযুক্তি থাকলেও এই অভ্যাস একদমই ভালো না। কারণ সারা রাত চার্জিংয়ের ফলে ফোনের ব্যাটারি হিট হয়ে যেতে পারে। পূর্বে বহু ঘটনা ঘটেছে যেখানে সারা রাত চার্জিংয়ের ফলে বোমার মতো ফেটে গিয়েছে স্মার্টফোন। তাছাড়া এই অভ্যাস চলতে থাকলে ফোনের ব্যাটারি বেশিদিন টেকে না।
ব্যাকআপ এড়িয়ে যাওয়া: সারা দিনে কত ছবি, ফাইল জমা হয় স্মার্টফোনে। সেগুলি আর অনন্তকাল ধরে স্মার্টফোনে সেভ থাকে না। তাই ফাইল ব্যাকআপ করার অপশন দেওয়া হয়। অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস দুই অপারেটিং সিস্টেমেই এই সুবিধা পাওয়া যায়। গুরুত্বপূর্ণ ছবি, ফাইল সেভ করে রাখার জন্য সেগুলি নির্দিষ্ট সময় অন্তর ব্যাকআপ করে রাখা উচিত।
অবিশ্বস্ত সোর্স থেকে ডাউনলোড: অনেক অ্যাপ আছে যেগুলি বিশ্বস্ত সোর্স যেমন গুগল প্লে স্টোরে পাওয়া যায় না। যেমন এপিকে (APK) ফাইল। এগুলিকে থার্ড পার্টি অ্যাপ বলা হয়। টেক বিশেষজ্ঞদের মতে, অবিশ্বস্ত সোর্স থেকে থার্ড পার্টি অ্যাপ ইন্সটল করা উচিত নয়। কারণ এর মধ্যে বেশিরভাগ অ্যাপে ম্যালওয়্যার ভাইরাস থাকে যা আপনার ফোনের সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে নেয়। অ্যাপেল থার্ড পার্টি অ্যাপ ডাউনলোড করার অনুমতি দেয়না। কিন্তু অ্যান্ড্রয়েডে করা যায় তাই আপনাকেই সতর্ক থাকতে হবে।
পাবলিক ওয়াইফাই: পাবলিক ওয়াইফাই পেলেই হুড়মুড়িয়ে শুরু হয় ইন্টারনেট ব্যবহার। কিন্তু এখানেও লুকিয়ে থাকে বিপদ। বেশকিছু পাবলিক ওয়াইফাই-এ ম্যালওয়্যার থাকতে পারে যা আপনার ফোনে ইন্সটল ঢুকে গুপ্তচরবৃত্তি করতে পারে, আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে। ব্যবহারকারী বুঝতে না পারলেও তার অগোচরেই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। তাই পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহারের সময় সাবধান থাকুন।
সারাদিন ব্লুটুথ অন: ইয়ারফোন বা হেডফোন ব্যবহার করার জন্য অনেক ক্ষন ধরে ব্লুটুথ অন করে রাখতে হয়। কিন্তু এর ফলেও আপনার ফোন হ্যাকিংয়ের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। তাই ইয়ারফোন ব্যবহার না করলে ব্লুটুথ অফ করে রাখুন।