এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ‘কুসংস্কার’ প্রচলন যুগ যুগ ধরেই। এর ব্যাপকতা এখনো রয়েছে। কোন লক্ষ্মনে কী হয়, কোন কাজ করলে কী হয়- এসবে মুরুব্বিরা এখনো সাবধান করে দেন। অতি প্রচলিত এই ১০ কুসংস্কারের নানা ধরনের ব্যাখ্যা হতে পারে। যে যেভাবে দেখে থাকেন কুসংস্কারগুলো।
মরা গাছে কাক ডাকা : অনেকে মনে করেন, মরা গাছে কাক ডাকলে নাকি কারো মৃত্যু সংবাদ আসে। এ ধারণা যারা বিশ্বাস করেন তারা সঙ্গে সঙ্গে কাক তাড়াতে নেমে পড়েন। কিন্তু কাক তাড়িয়ে মৃত্যুর সংবাদকে কতটা দূরে সরিয়ে রাখা যায়!
শেষ রাতে শিয়াল ডাকা : কাক ডাকা দুঃসংবাদ হলেও শেষ রাতের শিয়ালের ডাককে আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করা হয়। শেষ রাতে শিয়ালের ডাক নাকি ফসলের ভালো দাম পাওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
গভীর রাতে পেঁচার ডাক : শেষ রাতে শিয়ালের ডাকে ফসলের দাম বাড়লেও পেঁচাও কিন্তু রাতেই ডাকে! গভীর রাতে পেঁচার ডাককে অনেকে ঝগড়া-বিবাদের সংকেত মনে করেন। রাতে পেঁচার ডাকে মাটি কামড়ে নাকি ঝগড়া বাড়িয়ে দিতে চায়। তা না হলেও ইঁদুর শিকারের জন্য রাতে কিন্তু পেঁচা মাটিতে নেমে আসে।
যাত্রাপথে খালি কলস দেখা : বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় যদি সামনে খালি কলস পড়ে অনেকেই যাত্রা বন্ধ রাখেন। কারণ যাত্রাপথের খালি কলস কাজে ব্যর্থ হওয়ার লক্ষণ। আবার অনেকে এটাকে অভাবের আগাম সংকেত হিসেবে ধরে নেন।
পেছন থেকে ডাকা : ঘর থেকে বের হলে পেছন ফিরে তাকানো নিষেধ। তাতে যাত্রা ভঙ্গ হয়। বলা হয়, বাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তায় হোঁচট খেয়ে পড়লে যাত্রা অশুভ হয়। বাইরে বের হওয়ার সময় কোনো কিছুতে বাধা পড়লে অনেকে একটু বসে যান। কারণ যাত্রার শুরুতে বাধা পড়লে পথে বিপদ হতে পারে বলে মনে করে।
হাতের তালু চুলকানো : ডান হাতের তালু চুলকালে নাকি টাকা আসে। আর বাম হাতের তালু চুলকালে নাকি বিপদ আসে। যাত্রাপথে বাম হাতের তালু চুলকালে গন্তব্যস্থলে যান না বিশ্বাসীরা। আর ডান হাতের তালু চুলকালে তো কোনো কথাই নেই।
খাওয়ার সময় ঢেঁকুর উঠা : খাওয়ার সময় যদি কারো ঢেঁকুর উঠে বা মাথার তালুতে উঠে যায় তাহলে মনে করা হয়, কেউ তাকে স্মরণ করছে বা গালি দিচ্ছে। এতে অনেকে খুব বেশি খুশি হন। কারণ দূরে থাকা আপনজন তাকে স্মরণ করছে। ওই সময় মনটা তার ভালো থাকে।
কথার মাঝে টিকটিকি ডাকা : দু’জনে বসে কথা বলার সময় হঠাৎ টিকটিকি শব্দ করলে ‘কথা সত্য’ এমন ধরে নেয়া হয়। অনেকে এটাকে সত্যের ডাক বলে থাকেন। বিশ্বাসীরা অপরজনকে বলে থাকেন, দেখো আমি যা বলেছি তা কিন্তু মিথ্যা নয়। আমার সাথে টিকটিকিও সুর মেলাচ্ছে।
রাতে বিশেষ কিছু হস্তান্তর না করা : রাতের বেলা কাউকে সুই-সুতা, টাকা, চুন, হলুদ জাতীয় কিছু না দেয়ার রেওয়াজ আছে। তাই গেঞ্জি ও গামছা ছিঁড়ে গেলে রাতে সেলাই করেন না অনেকে। রাতের বেলা কাউকে চুন ধার দিলে চুন না বলে দই বলা হয়।
রাতে ঘরের বাইরে পানি না ছোড়া : গ্রামে রাতের খাওয়ার পর হাত ধোয়ার পানি সাধারণত ঘরের বাইরে ছুড়ে ফেলা হয় না। রাতে এভাবে পানি ফেলা ঠিক না। এতে নাকি অমঙ্গল হয়।