আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পৃথিবীতে এমন অনেক রহস্যময় স্থানে সন্ধান পাওয়া গেছে, যেগুলো রহস্য উন্মোচন করতে বিজ্ঞানীরাও ব্যর্থ হয়েছেন। পৃথিবীতে অনেক রহস্যময় বন, পর্বত, নদী, দ্বীপ ও গুহা রয়েছে, যার রহস্যের সমাধান এখনো হয়নি। অনেক জায়গা অদৃশ্য শক্তির কারণে রহস্যময় হয়ে উঠেছে আবার কিছু জায়গা ভৌতিক কারণে। তবে এই প্রতিবেদনে একটি রহস্যময় গুহার কথা বলা হয়েছে।
বিহারে একটি রহস্যময় গুহা রয়েছে যা জানার পরও মানুষ বিশ্বাস করবে না। এই রহস্যময় গুহাটি বিহারের মুঙ্গের জেলায় অবস্থিত, যার রহস্য আজও পর্যন্ত সমাধান হয়নি। এই গুহা এখনো মানুষের কাছে একটি রহস্যই হয়ে রয়েছে। এবার জেনে নেওয়া যাক এই রহস্যময় গুহাটির সম্পর্কে।
আপনি প্রায় দেখে থাকবেন যে একটি গুহায় একজন এক প্রান্ত থেকে প্রবেশ করে এবং অপরপ্রান্ত দিয়ে বের হয়। কিন্তু বিহারের মুঙ্গের জেলায় অবস্থিত এই রহস্যময় গুহার ভেতরে যাওয়ার পথ থাকলেও আজ পর্যন্ত কেউ বের হওয়ার জন্য অপরপ্রান্ত খুঁজে পায়নি।
বলা হয় যে আজও মানুষ এই গুহার অপরপ্রান্ত জানার চেষ্টা করছে। এই গুহাটি কমপক্ষে ২৫০ বছরের পুরনো, যার একটি ইতিহাসও রয়েছে। যে জায়গায় গুহাটি অবস্থিত সেটি একটি পার্ক। শ্রীকৃষ্ণ ভাটিকার এই গুহাটি নবাব মীর কাসিমের।
কথিত আছে, নবাব মীর কাসিম ১৭৬০ খ্রিস্টাব্দে মুঙ্গের জেলায় গঙ্গা নদীর এক তীরে একটি গোপন গুহা তৈরি করেছিলেন। ব্রিটিশদের আক্রমণ এড়াতে এই গুহাটি তৈরি করা হয়েছিল, যার এক প্রান্ত এখনো নিরাপদ দেখায়। গুহাটির অপরপ্রান্ত সম্পর্কে অনেক গল্পই রয়েছে। কেউ কেউ দাবি করেন গুহাটির অপরপ্রান্তটি পীর পাহাড়ের কাছে অবস্থিত, কিন্তু তাও নিশ্চিত করা যায়নি।
১৭৬০ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নবাব মীর কাসিম মুঙ্গের পৌঁছান। এরপর তিনি বাংলার রাজধানী মুর্শিদাবাদ মুঙ্গেরে স্থানান্তরিত করেন। কিছু ঐতিহাসিকের মতে, মীর কাসিম ১৭৬৪ সাল পর্যন্ত মুঙ্গেরে ছিলেন। তিনি মুঙ্গের এবং নিজেকে নিরাপদ রাখতে শহরটিকে একটি দুর্গে রূপান্তরিত করেছিলেন।