এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : আমাদের এই পৃথিবী অনেক রহস্যময় জিনিসে পরিপূর্ণ। এই প্রতিবেদনে এমনই একটি রহস্যময় চেয়ার সম্পর্কে বলা হয়েছে, যেখানে বসলে কোন না কোন কারণে মৃত্যু ঘটবে। ইংল্যান্ডের কোন এক জাদুঘরে এই চেয়ারটিকে রাখা আছে। এমনকি মাটি থেকে কয়েক ফুট উঁচুতে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে যাতে এটিতে কেউ বসতে না পারে। এসব কারণে দেশ ও বিশ্বে আলোচিত এই রহস্যময় চেয়ারটি।
১৮ শতকে, টমাস বাসবি নামে একজন ব্যক্তি ইংল্যান্ডের থির্স্কে বাস করতেন এবং তার একটি প্রিয় চেয়ার ছিল। কথিত আছে, তার শ্বশুর একবার তার এই প্রিয় চেয়ারে বসেছিলেন। এতে টমাস ক্ষুব্ধ হয় এবং তাকে হত্যা করে। এই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। যেদিন টমাসের ফাঁসি হওয়ার কথা। সেদিন তাকে তার শেষ ইচ্ছা জিজ্ঞেস করা হয়েছিল।
তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আগে তার শেষ ইচ্ছা প্রকাশ করে, তিনি বলেছিলেন যে তার প্রিয় চেয়ারে একটি শেষ খাবার খেতে চান। টমাসের ইচ্ছা মঞ্জুর করা হয়েছিল এবং তাকে বারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। খাবার শেষ করে তিনি উঠে দাঁড়ালেন এবং বললেন, যে আমার চেয়ারে বসার সাহস করবে সে মারা যাবে। ১৭০২ সালে তাকে উত্তর ইয়র্কশায়ারে ফাঁসি দেওয়া হয়। এই ঘটনার পর থেকে এই চেয়ার সত্যিই অভিশপ্ত হয়ে ওঠে।
যদিও অনেকেই বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নেননি এবং সেই চেয়ারে বসতে চেয়েছিলেন। তবে চেয়ারে বসার কয়েকদিনের মধ্যেই একজন মারা যান। কিছুদিন পর যখন আরও ৪ জন মারা যান, তখন অনেকেই বুঝতে পারেন এই চেয়ারটি অভিশপ্ত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কিছু সৈন্য এই চেয়ারে বসেছিল এবং তারাও যুদ্ধে মারা যায়। এখনো পর্যন্ত ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
একবার এক শ্রমিক কিছু জিনিসপত্র রাখার জন্য গুদামে এলে ক্লান্ত হয়ে সেই চেয়ারে বসে পড়ে। এর এক ঘণ্টা পর সড়ক দুর্ঘটনায় ওই শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর চেয়ারটিকে জাদুঘরে রাখা হয়। তারপর চেয়ারটি মাটি থেকে ছয় ফুট উচ্চতায় রাখা হয় যাতে কেউ বসতে না পারে। তবে এই চেয়ারটিকে নিয়ে মানুষের মনে এতটাই ভয় যে ওই চেয়ারটিকে দেখা তো দূরের কথা, তারা জাদুঘরে যেতেও ভয় পায়।