এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ডায়মন্ড কাটা থেকে শুরু করে ভয়ঙ্কর অস্ত্র, অথবা আপনার চোখের রঙ পরিবর্তনে লেজার ব্যবহার হচ্ছে। বর্তমানে লেজার কোথায় ব্যবহার হয় প্রশ্ন না তুলে বরং বলতে হয় কোথায় এর ব্যবহার নেই?
সুইস পদার্থবিদ জিন-পিয়েরে উলফ দীর্ঘদিন ধরে লেজার ব্যবহারের মাধ্যমে আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছেন। এরই ধারাবহিকতায় তিনি কৃত্রিম মেঘ সৃষ্টির মতো কাজ করতে সমর্থ হয়েছেন। যদিও মেঘ সৃষ্টির বিষয়টি শুনতে বেখাপ্পা লাগে, তবে এটাই সত্যি।
এটা এক ধরনের আবহাওয়া পরিবর্তনের মাধ্যম। চীন তার অলিম্পিক আয়োজন নির্বিঘ্ন করতে এরকম এক প্রক্রিয়ার সাহায্য নিয়েছিল। তখন তারা বৃষ্টি নিয়ন্ত্রণে রকেট ছেড়েছিল। কিন্তু এটা বলা সহজ নয় যে কীভাবে মেঘ বিজ কাজ করে। বা বৃষ্টি নিয়ন্ত্রণে রাসায়নিক স্প্রে কতটুকু কার্যকর।
তবে সেসবের তুলনায় লেজার ব্যবহার অনেক বেশি যুক্তিসংগত এবং বৈজ্ঞানিক বলে দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ এটা শুধুই আলো এবং আলো ছাড়া আর কিছুই নয়। আবহাওয়া পরিবর্তনে কীভাবে লেজার ব্যবহার হয় সে বিষয়ে প্রশ্ন থাকাটা স্বাভাবিক। সাধারণত জলীয় অংশ ঘনীভূত হয়ে মেঘ সৃষ্টি করে। এই প্রক্রিয়ায় মেঘ সৃষ্টি ও বৃষ্টির ফোঁটা আকারে ঝড়ে পরার কাজ সম্প্রসারিত হয়।
উলফ বলেন, আমরা এটি ল্যাবে তৈরি করেছি। লেজার ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা মেঘ সৃষ্টিতে সক্ষম হয়েছি। তবে তা বৃহদাকারে সম্ভব হয়নি। কারণ আমাদের লেজার খুব বেশি শক্তিশালী নয়। এছাড়া বিভিন্ন টেকনিক্যাল প্যারামিটার এখনো আমরা পরিপূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়ে উঠতে পারিনি।
উলফের দাবি প্রযুক্তিটি এখনো শৈশবকাল পার করছে। এটি নিয়ে কাজ চলছে। যখন আমরা সফল হবো এই প্রযুক্তি আমাদের আবহাওয়ার সামঞ্জস্য বিধানে সহায়ক হবে। এর ব্যবহারে ক্যালিফোর্নিয়া কিংবা চিলির মতো চরম ভাবাপন্ন আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণও সম্ভব হবে।