এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : সারা পৃথিবীতে রহস্যের অভাব নেই, এমনকি সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীরাও আজ পর্যন্ত এই রহস্যের সন্ধান করতে পারেননি। এই প্রতিবেদনে এমনই এক লেকের কথা বলা হয়েছে। এর রহস্য হল এই হ্রদটি রাতের বেলা নীল রঙের পাথরের মতো জ্বলতে থাকে। তাই এই হ্রদটি বিশ্বের সবচেয়ে রহস্যময় হ্রদ হিসেবে পরিচিত। আসলে, আমরা ইন্দোনেশিয়ার কাওয়াহ ইজেন নামের একটি হ্রদের কথা বলছি।
এই হ্রদটি ইন্দোনেশিয়ারসবচেয়ে অম্লীয় অর্থাৎ লবণাক্ত জলের হ্রদ। এই হ্রদের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল দিনে এটি দেখতে হুবহু অন্যান্য হ্রদের মতো হলেও রাতে এর জল সম্পূর্ণ নীল হয়ে যায়। তখন মনে হয় এটা নীল রঙের পাথর। এই লেকের জল রাতে নীল পাথরের মতো জ্বলজ্বল করে। প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে অবস্থিত এই হ্রদের নাম ‘কাওয়াহ ইজেন’।
কাওয়াহ ইজেন হ্রদের জলের তাপমাত্রা সর্বদা ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে গরম থাকে। অর্থাৎ যে কোন প্রাণী এতে পড়ে গেলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে তার শরীরের মাংস গলে যাবে। এই হ্রদের সবচেয়ে রহস্যময় বিষয় হল এর রঙ। এই লেকের জল সবসময় ফুটতে থাকে। এ কারণে লেকের আশেপাশে কোনো জনবসতি নেই।
তবে এই হ্রদের ছবি বেশ কয়েকবার স্যাটেলাইট থেকে প্রকাশিত হয়েছে, যাতে রাতে লেকের জল থেকে নীল-সবুজ আলো নির্গত হতে দেখা যায়। বছরের পর বছর গবেষণা করেও বিজ্ঞানীরা এই হ্রদ থেকে নির্গত রঙিন আলোর কারণ খুঁজে বের করতে পারেননি। কাওয়াহ ইজেন লেক এতটাই বিপজ্জনক যে বিজ্ঞানীরাও এর আশেপাশে বেশিক্ষণ থাকার সাহস করতে পারেন না।
তবে বিজ্ঞানীদের অনুমান, এই হ্রদের চারপাশে অনেক সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে, যার কারণে অনেক ধরনের গ্যাস যেমন হাইড্রোজেন ক্লোরাইড, সালফিউরিক ডাই অক্সাইডও হ্রদ থেকে বেরিয়ে আসছে। এই সমস্ত গ্যাস একে অপরের সাথে বিক্রিয়া করে, যার কারণে কাওয়াহ ইজেন হ্রদের জল নীল রঙ দেখায়।