এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ব্যায়ামের সুফল পেতে ধারাবাহিকতা দরকার। এ জন্য দলগতভাবে ব্যায়াম করতে পারেন। ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে একজন অন্যজনকে অনুপ্রেরণা জোগাতে পারেন।
শুরুতে স্ট্রেচিং না করা
দ্রুত ওজন কমাতে চান অনেকেই। এ জন্য জিমে গিয়েই ভারী ব্যায়াম শুরু করেন। এতে লাভের চেয়ে ক্ষতির শঙ্কাই বেশি। শরীরচর্চায় কখনোই দ্রুত ফল পাওয়া যায় না।
তাড়াহুড়ার চেয়ে এখানে ধারাবাহিকতা বেশি জরুরি। এ জন্য জিমে ঢুকে শুরুতে স্ট্রেচিং না করা বড় একটা ভুল। হুট করে ব্যায়াম শুরু করলে শরীরের মাংসপেশিতে টান পড়তে পারে। অনেক সময় পেশিতে টান ধরে দুর্ঘটনা ঘটে।
এ জন্য জিমে গিয়ে শুরুতে কিছু সময় গা গরম করে নিন। হালকা স্ট্রেচিং করুন। এরপর ব্যায়াম শুরু করলে সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যায়।
ভারী ব্যায়ামে বেশি সময়
দ্রুত ছিপছিপে হওয়া যায়। এ জন্য জিমে ভারী ব্যায়াম করা শুরু করেন। ভারী ব্যায়ামে দ্রুত শরীর গঠন হয় না। এর জন্য দরকার ধৈর্য ধরে নিয়মমাফিক ব্যায়াম করা। একেক শরীরে একেক ধরনের ব্যায়াম বেশি উপযোগী।
এ জন্য শরীরের ধরন বুঝে ব্যায়াম বেছে নেওয়া উচিত। নয়তো ব্যায়ামের সময় দ্রুত ক্লান্তি চেপে বসবে। প্রস্তুতি ছাড়া ভারী ব্যায়ামে শরীরের নির্দিষ্ট মাংসপেশির ওপর বাজে প্রভাব পড়তে পারে। এ জন্য প্রশিক্ষকের নির্দেশনা মেনে ব্যায়াম করুন।
বিশ্রাম না নেওয়া
ব্যায়াম করার সময় অনেকেই বিশ্রাম নিতে চান না। ভাবেন বিশ্রামের সময়টুকু আরেকটু দৌড়ালে বেশি চর্বি ঝড়বে। জিম করার সময় ঠিকঠাক বিশ্রাম না নেওয়াও বড় ভুল। টানা জিমে শরীর দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়ে। ব্যায়ামের সময় শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও মাংসপেশি বেশি সক্রিয় থাকে। ব্যায়ামের ফলে পেশিতে পরিবর্তন আসে। এ জন্য প্রতিটি ব্যায়ামের পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়া উপকারী।
ব্যায়ামে অনিয়মিত হওয়া
ব্যায়ামের সুফল পেতে হলে ধারাবাহিকতা ধরে রাখার কোনো বিকল্প নেই। এক দিন ব্যায়াম করে তিন দিন জিম থেকে দূরে থাকার কোনো ফায়দা নেই। অনিয়মিত ব্যায়ামে আপনি কোনো ফল পাবেন না। এতে শুধু সময় ও শক্তি অপচয় হবে। তাই সংকল্পবদ্ধ হয়ে ধারাবাহিকভাবে দিনের পর দিন ব্যায়াম করে যেতে হবে, তবেই কাঙ্ক্ষিত শরীর গঠন করতে পারবেন।
ব্যায়ামের সময় বেশি বিরতি
ব্যায়ামের মধ্যে বিশ্রাম নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই ব্যায়ামের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ বসে থেকে গালগল্প করে বা মোবাইল নিয়ে সময় নষ্ট করেন। এটাও ব্যায়ামের ভুল। প্রতিটা ব্যায়াম শেষে কমপক্ষে ২ মিনিট বিরতি নিন। এরপর পুনরায় শুরু করুন। ব্যায়াম করার সময় শরীরের গতি-প্রকৃতিতে পরিবর্তন আসে। বেশি বিরতি নিলে শরীরের স্বাভাবিক ছন্দ হারিয়ে যায়। পুনরায় ব্যায়ামে মন বসতে চায় না।
পুষ্টিকর খাবার না খাওয়া
ব্যায়ামের পাশাপাশি শরীরের পুষ্টি চাহিদাতেও নজর রাখতে হবে। শুধু পুষ্টিকর খাবার নয়, অপরিমিত ঘুমও ব্যায়ামের সুফলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। ব্যায়ামের সময় খাবার পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে। একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শে আপনার শরীরের জন্য উপযোগী একটি ডায়েট লিস্ট তৈরি করে নিতে পারেন।
ব্যায়ামের পর গোসল না করা
ব্যায়ামে শরীর থেকে ঘাম ঝরে। ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে লবণ ও ক্ষতিকর নানা উপাদান বেরিয়ে যায়। ঘাম থেকে গন্ধ হয়। এ জন্য ব্যায়ামের পর বিশ্রাম নিয়ে গোসল করা উচিত। এতে পেশি শীতল হয়।