এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : যে কোনো চাকরির আবেদনের ক্ষেত্রে সিভি বা জীবনবৃত্তান্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে বুঝতে পারেন না, কীভাবে তিনি তার জীবনবৃত্তান্ত সাজাবেন বা কোন কোন বিষয় উল্লেখ করবেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক, কোন ৭টি বিষয় আপনার সিভিকে সমৃদ্ধ করবে এবং আপনার কাঙ্ক্ষিত চাকরি পেতে সহায়তা করবে।
১. অর্জন
আপনি এর আগে যেসব কাজে সাফল্য পেয়েছেন, ‘অর্জন’ শব্দটি ব্যবহার করে সেগুলো উল্লেখ করুন। সিভির এই অংশটি আপনার সামর্থ্যকে নিয়োগকর্তার কাছে তুলে ধরবে। এতে করে আপনার চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনাও বাড়বে।
২. উদ্ভাবন
চাকরিক্ষেত্রে আপনার যদি পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে থাকে, তবে আগের কর্মস্থলে কীভাবে আপনি নতুন ধারণা, কর্মপদ্ধতি বা কর্মপ্রক্রিয়া প্রবর্তন করেছেন – তা বর্ণনা করতে জীবনবৃত্তান্তে এ সংক্রান্ত একটি অংশ রাখুন। সেখানে আপনার সৃজনশীলতা ও সমস্যা সমাধানের দক্ষতাগুলো বর্ণনা করুন। এতে করে জীবনবৃত্তান্তে আপনার চিন্তাশীলতা এবং কর্মস্থলে উদ্ভাবনী অবদান রাখার দক্ষতা ফুটে উঠবে।
৩. নেতৃত্ব
যে কোনো দল পরিচালনা এবং প্রকল্প বা উদ্যোগে আপনার ভূমিকা প্রসঙ্গে নিজের নেতৃত্বগুণের বিষয়টি জীবনবৃত্তান্তে আলাদাভাবে উল্লেখ করুন। সিভির ওই অংশে আপনার নেতৃত্বের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার বিষয়টি উল্লেখ করুন। সিভিতে এই অংশটুকু থাকলে তা আপনার দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষমতা এবং ইতিবাচক ফলাফল এনে দেওয়া দক্ষতাকে ফুটিয়ে তুলবে নিয়োগকর্তার কাছে। এতে করে আপনার কাঙ্ক্ষিত চাকরি পাওয়াও সহজ হয়ে উঠতে পারে।
৪. বাস্তবায়নের কৌশল
কর্মস্থলে আপনি কীভাবে আপনার পরিকল্পনা বা কৌশলগুলোকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন, তা বর্ণনা করতে হবে সিভি’র একটি অংশে। এতে করে কাজের ক্ষেত্রে আপনি যে একজন সক্রিয় প্রকৃতির মানুষ, সেটি নিয়োগকর্তা বুঝতে পারবেন। এছাড়া এর মাধ্যমে আপনার কাজ সম্পাদনের ক্ষমতা সম্পর্কেও একটি স্পষ্ট চিত্র ফুটে উঠবে নিয়োগকর্তাদের সামনে।
৫. নতুন কিছু করার উদ্যম
জীবনবৃত্তান্তে আপনার নতুন কিছু করার উদ্যম সম্পর্কে উল্লেখ করুন। যে কোনো প্রকল্প, দল পরিচালনা বা সংস্থায় কাজের ক্ষেত্রে আপনার এই গুণ থাকাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনি যে একজন উদ্যমী কর্মী, সেটি নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে তুলে ধরতে। আর এর জন্য প্রথমেই জীবনবৃত্তান্তে সেটি আলাদাভাবে সবিস্তারে বর্ণনা করা জরুরি।
৬. কাজের সহজ সমাধান
আপনি কীভাবে যে কোনো কাজ বা উদ্ভূত সমস্যা সহজভাবে সমাধান করেন, সেটি জীবনবৃত্তান্তে উল্লেখ করতে হবে। এর মাধ্যমে আপনি কোনো প্রতিষ্ঠানের ব্যয় কমিয়ে থাকলে, অবশ্যই সেটির বর্ণনা দিতে হবে। এতে সাক্ষাৎকারগ্রহীতা আপনার দক্ষতা সম্পর্কে বুঝতে পারবেন।
৭. প্রভাবিত করার ক্ষমতা
অন্যকে প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে আপনার দক্ষতা কতটুকু, তা জীবনবৃত্তান্তে উল্লেখ করুন। কারো মনে ইতিবাচক চিন্তা তৈরি করতে আপনি কতটুকু দক্ষ, সেটিও জানাতে হবে নিয়োগকর্তাকে। আপনার যোগাযোগের দক্ষতা কতটুকু কার্যকরী, সিভির এই অংশটি মূলত সেই বিষয়টি তুলে ধরবে।
জীবনবৃত্তান্ত তৈরির সময় তাই অবশ্যই এই ৭টি বিষয় উল্লেখ করতে হবে। এগুলো শুধু নিয়োগকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে – বিষয়টি তা নয়। বরং একই সঙ্গে আপনার দক্ষতা, কৃতিত্ব ও সম্ভাবনাকেও উপযুক্ত উপায়ে তুলে ধরবে নিয়োগকর্তাদের সামনে। ফলে আপনার কাঙ্ক্ষিত চাকরি পাওয়া সহজ হবে অনেকটাই। তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে