এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল জিনিসগুলির সম্পর্কে যদি বলা হয় তাহলে বেশিরভাগ লোকেরই উত্তর হবে হিরা বা অন্য কোন ধাতুর নাম।
কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই প্রতিবেদনে এমন পাঁচটি সবচেয়ে মূল্যবান জিনিসের কথা বলা হয়েছে, যেগুলো সাধারণত মানুষের নাগালের অনেক বাইরে। নিম্নে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
৫) রানী এলিজাবেথের মুকুট (Crown of Queen Elizabeth) : বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল জিনিসের পঞ্চম তালিকায় রয়েছে ইংল্যান্ডের রানী এলিজাবেথের রাজকীয় মুকুট।
এতে ভারত থেকে নিয়ে আসা কোহিনুর হীরা রয়েছে, ফলে এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে দামি জিনিস করে তুলেছে। এই হীরাটি প্রায় ১০৯ ক্যারেটের এবং বিশ্ববাজারে এর মূল্য আনুমানিক ৪,৭৮৭ কোটি টাকা।
৪) এয়ার ফোর্স ওয়ান (Air Force One) : পৃথিবীর চতুর্থ সবচেয়ে মূল্যবান জিনিস হলো এয়ার ফোর্স ওয়ান, আমেরিকান প্রেসিডেন্টের প্রাইভেট জেট। ৪০০০ বর্গফুট জায়গার এই উড়োজাহাজটি প্রতি ঘন্টায় প্রায় ১০০০ কিলোমিটার বেগে উড়তে পারে। এই জেট বিমানে অফিস, হাসপাতাল সহ সমস্ত সুযোগ সুবিধা রয়েছে। এর মূল্য প্রায় ৫,৩৪৬ কোটি টাকা।
৩) হাবল স্পেস টেলিস্কোপ (Hubble Space Telescope) : বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল জিনিসগুলোর তৃতীয় স্থানে রয়েছে হাবল স্পেস টেলিস্কোপ।
এই টেলিস্কোপ কেবল পৃথিবীর প্রতিটি কোনই দেখায় না, মহাকাশের প্রতিটি নক্ষত্রের দিকেও নজর রয়েছে। ১৯৯০ সালে প্রথম স্থাপিত হয় ২৫ ফুটের এই টেলিস্কোপ। বিশ্ববাজারে এর দাম প্রায় ১৬.৫ হাজার কোটি টাকা বলে অনুমান করা হয়।
২) সুপ্রিম ইয়ট (Supreme Yacht) : বিশ্বের সবচেয়ে বিলাসবহুল জিনিসগুলির দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সুপ্রিম ইয়ট। এটির মালিক মালয়েশিয়ান ব্যবসায়ী রবার্ট কুক, যিনি শাংরি-লা হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট এর প্রতিষ্ঠাতা।
১ কেজি মজবুত সোনা ও প্লাটিনাম দিয়ে তৈরি ৩০ মিটারের ইয়টটি। এখানে পরিবেশিত ওয়াইন গ্লাসগুলি ১৮ ক্যারেট হিরা দিয়ে তৈরি। এর বেডরুমে উল্কা পাথর ব্যবহার করা হয়েছে। এর আনুমানিক মূল্য ৪০ হাজার কোটি টাকা।
১) ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (International Space Station) : বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল জিনিসটি হলো ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন বা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন।
এটি তৈরি করতে ১২ বছর সময় লেগেছে, যা বিশ্বের শীর্ষ বিশেষজ্ঞরা এটি প্রস্তুত করেছেন। এটি তৈরিতে খরচ হয়েছে প্রায় ১২ লাখ কোটি টাকা। এই পরিমাণে একটি পুরো শহর তৈরি করা যেতে পারে। ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনটি আফ্রিকার দেশ নামিবিয়ার প্রায় ২৬৫ মাইল উপরে স্থাপন করা হয়েছে।