শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৩, ১০:০৮:০৮

গাছটিতে শত শত কাঁঠাল ধরছে ২০০ বছর ধরে!

গাছটিতে শত শত কাঁঠাল ধরছে ২০০ বছর ধরে!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : প্রতি বছর প্রায় ২০০টি কাঁঠাল ধরে সে গাছে, বেশি তবু কম নয়। স্থানীয়দের দাবি, ২০০ বছর ধরে একটানা ফল দিয়ে চলেছে সে গাছ। 


ভারতের তামিলনাড়ুর পানরুটি এলাকার মালিগামপাট্টু গ্রামের এই কাঁঠাল গাছটি যেন নিজেই একটি ইতিহাস।


মালিগামপাট্টু গ্রামের কৃষক সংগঠনের প্রেসিডেন্ট এস রামস্বামী জানান, তাদের গ্রামে যে ২০০ বছরের পুরোনো গাছটি রয়েছে, তারা চার পুরুষ ধরে তা দেখে আসছেন, গাছের যত্ন করে আসছেন। 


এত বয়স হয়ে গেলেও ফলন কমেনি তার। এক মরসুমে ২০০টি পর্যন্ত কাঁঠাল ফলে গাছটিতে। এক একটি কাঁঠালের ওজন হয় ৩ থেকে ১২ কিলোগ্রাম। এই গাছটির কাঁঠালের স্বাদও অনন্য।


তবে শুধু এই কাঁঠাল গাছ নয়। পানরুটি এলাকায় যেদিকেই চোখ যায়, কেবল কাঁঠাল গাছই চোখে পড়ে। হাওয়ায় ভাসে কাঁঠালের কড়া গন্ধ। ঘরে ঘরে কাঁঠালের স্তূপ জমে আছে, পথে পথে বিক্রি হচ্ছে কাঁঠাল। 


স্থানীয় মানুষের খাবার পাতেও প্রতি বেলায় থাকবেই এই ফল। পানরুটিতে সারা বছর ধরে ৮০০ হেক্টর জমিতে চলে কাঁঠাল চাষ। প্রতি বছর ৪৫-৫০ হাজার মেট্রিক টন কাঁঠাল উৎপাদন পানরুটিতে। শুধু ভারতে নয়, বিদেশেও বিখ্যাত পানরুটির কাঁঠাল।


বাণিজ্যিক ভাবেও পানরুটির কাঁঠাল এগিয়ে আছে। স্বাদে এবং পুষ্টির গুণে এই কাঁঠাল নাকি এতই ভাল, যে যত কাঁঠাল পানরুটিতে হয়, তার ৯৫ শতাংশই রপ্তানী করে দেওয়া হয়। ফলে এত রাশি রাশি কাঁঠালের মধ্যে নষ্ট হয় না বলতে গেলে কিছুই।


সম্প্রতি পানরুটির এই কাঁঠালের জিআই স্বীকৃতির জন্য আবেদনও করা হয়েছে আদালতে। মাদ্রাজ হাইকোর্টের সরকারি আইনজীবী পি সঞ্জয় গান্ধী এই আবেদন করেছেন মালিগামপাট্টু গ্রামের কৃষক সংগঠনের তরফে। 


তিনি বলেন, “এই কাঁঠালের কোয়াগুলি লম্বা, বেশি মিষ্টি এবং ঘন শাঁসযুক্ত। এত ভাল কোয়া সাাধারণত দেখা যায় না প্রতিটি কাঁঠালে।” এখন আবেদনের ভিত্তিতে সেই জিআই ট্যাগ মেলে কিনা, অপেক্ষায় আছে পানরুটি।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে