এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : দৃষ্টি বিভ্রম বা অপটিক্যাল ইলিউশন হল চোখের ধাঁধা। হামেশাই নানা রকম অপটিক্যাল ইলিউশন ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ছবির মধ্যে থেকে খুঁজে বার করতে হয় নানা রকম অবয়ব, অক্ষর ইত্যাদি। আর অপটিক্যাল ইলিউশন সমাধানের মাধ্যমে নিজের মস্তিষ্কের তীক্ষ্ণতা পরীক্ষা করে নেওয়া যায়।
অপটিক্যাল ইলিউশনের ধাঁধায় বিভিন্ন কোণ অথবা বিভিন্ন আকার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর এগুলি খুঁজে বার করতে পারলে বা সমাধান করতে পারলেই বোঝা যায় যে, মানুষটির বুদ্ধির জোর এবং আইকিউ কতটা!
এখানেই শেষ নয়, অপটিক্যাল ইলিউশনের ধাঁধার সমাধান করার ধরন থেকে বোঝা যায় মানুষের চারিত্রিক দোষ-গুণও। এমনকী জানা যায়, তাঁর মধ্যে থাকা নানা ধরনের বৈশিষ্ট্যও!
সম্প্রতি এমনই এক ধাঁধা ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই ছবি দেখে বিভিন্ন রকম মত প্রকাশ করছেন নেটিজেনরা। তবে ছবিটার আসল রহস্যটা কী, সেটাই আজ খুঁজে বার করব আমরা!
তবে প্রথমেই দেখে নেব কী কী দেখা যাচ্ছে ছবিটিতে। একটি তুষারাবৃত জঙ্গলের দৃশ্য। যেখানে রয়েছে সারি সারি গাছ আর ঝোপ।
আর সমস্ত কিছু ঢেকে গিয়েছে পুরু বরফের চাদরে। বরফাবৃত জঙ্গলের ঠিক মাঝখানে দাঁড়িয়ে রয়েছে একটি শিয়াল। আর ডান দিকে গাছের আড়ালে মিশে রয়েছে একটি সাদা-বাদামি ঘোড়া।
কিন্তু মজার বিষয় হল, এই ছবিতে কেবল একটি নয়, বরং রয়েছে ২টি ঘোড়া। আর দ্বিতীয় ঘোড়াটিকে খুঁজে বার করাটাই আজকের অপটিক্যাল ইলিউশন চ্যালেঞ্জ। তা-ও মাত্র ৬ মিনিটের মধ্যে।
আজকের চ্যালেঞ্জ কিন্তু বেশ কঠিন হতে চলেছে। কারণ বরফে ঢাকা গাছের গুঁড়ির কিছু কিছু অংশ উঁকি দিচ্ছে। ফলে সাদা আর বাদামি রঙের একটা মিশ্রণ তৈরি হয়েছে। আবার ঘোড়ার রঙও একই। ফলে এমন ভাবে ক্যামোফ্লেজ হয়েছে, যার জেরে ঘোড়াগুলিকে শনাক্ত করা একেবারেই মুশকিল হয়ে গিয়েছে।
প্রথম ঘোড়াটি চট করে চোখে পড়লেও দ্বিতীয় ঘোড়াটিকে কিন্তু খুঁজে পাওয়া সোজা নয়। সময় তো প্রায় ফুরিয়ে এল। তাহলে কি খুঁজে পাওয়া গেল দ্বিতীয় ঘোড়াটিকে? অবশ্য প্রখর দৃষ্টিশক্তি না হলে সেটাকে খুঁজে পাওয়া প্রায় সম্ভব নয় বললেই চলে।
মাত্র ১ শতাংশ মানুষই খুঁজে বার করতে পেরেছে দ্বিতীয় ঘোড়াটিকে। যাই হোক, সেই দলে রয়েছেন কি না সেটা একবার পরখ করেই দেখা যেতে পারে।
আর না পাওয়া গেলে আমরাই সঠিক উত্তরটা বলে দেব। ছবির বাম দিক বরাবর লক্ষ্য করা যাক। শিয়ালটি যেখানে দাঁড়িয়ে রয়েছে, তার ঠিক বাম দিকের গাছের দিকে চোখ রাখলেই সমাধান করা যাবে এই ধাঁধার। গাছের আড়ালেই মিশে রয়েছে দ্বিতীয় ঘোড়াটি।