এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : এই পৃথিবী রহস্যময় স্থানে পরিপূর্ণ। এমন অনেক রহস্যময় জায়গা রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে মানুষ জানলেও বিশ্বাস করবে না।
বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর অনেক রহস্যের সমাধান করেছেন, তবে বেশিরভাগ রহস্যই এখনো অধরাই রয়ে গেছে। এই প্রতিবেদনে তেমনি একটি রহস্য স্থানের কথা বলা হয়েছে, যার সম্পর্কে জানলে আপনিও অবাক হতে বাধ্য হবেন।
লঙ্কা জয়ের পর ভগবান রাম রাবণের ছোট ভাই বিভীষণের কাছে রাজ্য হস্তান্তর করেন। এরপর লঙ্কার নিয়ন্ত্রণে থাকা বিভীষণ ভগবান রামকে অনুরোধ করলেন যে রাম সেতু ভাঙতে। বিভীষণের অনুরোধে ভগবান রাম তার ধনুকের এক প্রান্ত দিয়ে সেতুটি ভেঙ্গে দেন। সেই থেকে এই স্থানটি ধনুশকোডি নামে বিখ্যাত হয়ে ওঠে।
তামিলনাড়ুর পূর্ব উপকূলে রামেশ্বরম দ্বীপের দক্ষিণপ্রান্তে এই শহরটি অবস্থিত। ধনুশকোডির সাথে ভগবান রামের গভীর সম্পর্ক আছে। অন্যদিকে আবার এখানে প্রেতাত্মাদের অনুভব করা যায় বলেও দাবি করা হয়। আসলে ১৯৬৪ সালে একটি প্রচন্ড ঘূর্ণিঝড়ের সময় যারা এখানে এসেছিলেন তারা বুঝতে পারেন যে তাদের সাথে কিছু অস্বাভাবিক ঘটছে।
এই খবর শোনার পর, তামিলনাড়ু সরকার এই শহরটিকে একটি ভুতুড়ে শহর এবং বসবাসের অযোগ্য হিসেবে ঘোষণা করে। সূর্যাস্তের পর কেউ যেন এখানে না যায়, সে বিষয়েও সতর্ক করছে সরকার। ধনুশকোডিকে বলা হয় ভারতের অন্যতম রহস্যময় শহর।
মহারাষ্ট্রে অবস্থিত কালবন্তী দুর্গও নাকি একটি রহস্যময় স্থান। এই দুর্গটিকে খুবই ভয়ংকর বলে মনে করা হয়। এই দুর্গ সম্পর্কে অনেক গল্প লোকমুখে প্রচলিত রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, এই দুর্গে নেগেটিভ এনার্জি অনুভব করা যায়। যে কারণে এখানে অনেক মানুষকে টেনে নিয়ে আসে এবং তারা আত্মহত্যা করে। এই ধ্বংসস্তূপে মধ্যরাতের পর অদ্ভুত চিৎকার শোনা যায়।
এছাড়া রাজস্থানের ভানগড় দুর্গকেও ভারতের সবচেয়ে ভুতুড়ে স্থান বলে মনে করা হয়। কথিত আছে, ভানগড়ের এক তান্ত্রিক রাজকন্যা রত্নবতীকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু রাজকন্যা তাতে রাজি না হওয়ায় ওই তান্ত্রিক আত্মহত্যা করে এবং তার আগে সেখানে বসবাসকারী সকল মানুষকে অভিশাপ দিয়েছিলেন। এরপর সেখানে রাজকন্যাসহ সকলেই মারা যায়। সেই থেকেই এই দুর্গটি একটি অভিশপ্ত হয়ে রয়েছে।