মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০২:০০:২৯

বিড়ালছানার ভালোবাসায় সুস্থ হচ্ছে রোগীরা

বিড়ালছানার ভালোবাসায় সুস্থ হচ্ছে রোগীরা

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : প্রথম যখন এসেছিল রাদেমেনেস তখন খুবই অসুস্থ।  সে কষ্ট চোখে দেখা যায় না।  ভালো করে শ্বাস নিতে পারে না।  বাঁচবে না বলেই ধরে নিয়েছিল পরিবার।  তাই হাসপাতালমুখো হয়নি কেউ-ই। রাদেমেনেসেরও বাড়ি ফেরা হয়নি!

তবে থেকেই তার ঠিকানা পোল্যান্ডের বিদগোত্‍‌সেরের পশু আবাস।  পশু হাসপাতাল বলাটাই যুক্তিযুক্ত।  যেখানে আবাসিক বলতে রাদেমেনেসের মতোই কেউ।  আবাসিক হলেও অস্থায়ী, যতদিন অসুস্থ, ততদিনই।  সুস্থ হলেই আবার তার মনিবের আশ্রয়ে।  ব্যতিক্রম শুধুই রাদেমেনেস।  পশু আবাসই তার ঘরদুয়ার।

কিন্তু নেহাতই আশ্রিত নয় সে।  রাদেমেনেস সেখানকার নার্স।  মাত্র দু’মাস বয়সেই! অসুস্থ কেউ এলে তার যত্নে কমতি রাখে না মিশকালো এই পোলিশ বিড়ালছানা।  সেখানকার এক পশু ডাক্তার লুসিনা কুজিয়েলের কথায়, একজন দায়িত্বশীল নার্সের যা দায়িত্ব, রাদেমেনেস তাই করে।  

রোগীকে চামচে করে খাইয়ে দেয়।  তার স্বাস্থ্যের খুঁটিনাটি নজর রাখে। পরিষ্কার করিয়ে দেয়।  আবার কখনো দেয় স্বজন-উষ্ণতা।  এ লুসিনাই একদিন নাওয়া-খাওয়া ভুলে সুস্থ করে তুলেছিলেন রাদেমেনেসকে।  আজ রাদেমেনেসের স্বজন বলতে সেই ডাক্তারই।

নিজে স্বজনসান্নিধ্য থেকে বঞ্চিত হলেও রাদেমেনেস এটুকু বয়সেই শিখে নিয়েছে কী করে সবাইকে আপন করে নিতে হয়।  কেউ হাতে ধরে শেখায়নি। হয়তো নিজের ভালোবাসা ও সেবা দিয়েই সে ভুলে থাকতে চায় একাকিত্বের বেদনা।  অবলার সে ভাষা বোঝে না যে কেউ!

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে