এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : শুধু রান্নার কাজেই নয় বরং ত্বকের যত্নেও হলুদের জুড়ি মেলা ভার। ত্বকের যত্নে হলুদ সবচেয়ে উপকারী, সস্তা ও ঘরোয়া উপায়। তবে ত্বকে হলুদ ব্যবহার করারও কিছু পদ্ধতি রয়েছে।
ত্বকের প্রয়োজন অনুযায়ী নানান ভাবে হলুদ ব্যবহার করতে পারেন। এখানে এমন ৫টি পদ্ধতি জানানো হলো, যা মেনে চললে ত্বক উজ্জ্বল হবে।
গোলাপজল, চন্দন পাওডারের সঙ্গে হলুদ গুড়া মিশিয়ে লাগালে অ্যাকনির সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। আপনার ত্বক লেবুর টকভাব সহ্য করতে পারলে, এই মিশ্রণে ৩ থেকে ৪ ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে দিন। এর ফলে অ্যাকনির সমস্যা দূর হবে এবং ত্বক উজ্জ্বল হবে।
নানা কারণে মুখের ওপরে দাগ দেখা যায়। পিম্পল, অ্যাকনি বা আঘাতের চিহ্নের কারণেও এই দাগ হতে পারে। হলুদ এই সব ধরনের দাগ দূর করতে পারে। এ ধরনের ফেসপ্যাক বানানোর জন্য দই ও বেসনের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এটি মুখে লাগিয়ে নিয়ে শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। শীতকালে মুখ ধোয়ার জন্য কুসুম গরম পানি ব্যবহার করতে পারেন।
এক টেবিল চামচ দইয়ের সঙ্গে ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো ও ১ চা চামচ টমেটোর রস মিশিয়ে নিন। তারপর এটি চোখের নিচে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ত্বকে বয়সের ছাপ দেখা দিতে শুরু করেছে? হলুদের সাহায্যে সেই ছাপ দূর করতে পারবেন। এর জন্য ৩ চামচ দুধের সঙ্গে এক টেবিল চামচের ৪ ভাগের এক ভাগ হলুদ মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণকে ত্বকে লাগিয়ে হাল্কা হাতে ম্যাসাজ করুন। ত্বক যতক্ষণ না দুধ শোষণ করে নিচ্ছে, ততক্ষণ এমন করে যান। ১০ মিনিট এই প্যাকটি লাগিয়ে রাখুন। তার পর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন।
চোখের নিচে কালি দেখা দিলে চালের গুঁড়ো, টমেটোর রস ও কাচা দুধের সঙ্গে হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে একটি পেস্ট বানিয়ে নিন। পুরো মুখে ২০ থেকে ২৫ মিনিট এটি লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
গোলাপ জলের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে লাগালে ফর্সা রঙ পেতে পারেন। ২ চামচ বেসন, আধা চামচ হলুদ গুঁড়ো ও ৩ চামচ গোলাপজল মিশিয়ে একটি পেস্ট বানিয়ে নিন। ২০ থেকে ২৫ মিনিটের জন্য এই পেস্টটি মুখে লাগিয়ে রাখুন। তার পর ঠান্ডা বা কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে পরিষ্কার করুন।