এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : মাথায় আইডিয়া ভরপুর। ব্যবসা পরিকল্পনা সব ঠিকঠাক। মনের জোরে শুরু করলেন নিজের ব্যবসা। এবার প্রশ্ন, লাভবান হবেন তো? একটা কথা মনে রাখতে হবে, সহজে কোনকিছু পাওয়া সম্ভব নয়। জীবনে ছোট কিছু পেতে হলেও শ্রম দিতে হয়, সময় দিতে হয়। মোট কথা লেগে থাকতে হয়।
কোন কিছু নতুন করে শুরু করলে প্রথমে সবকিছু অচেনা মনে হবে। তবে কৌশল মেনে এগোতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, নিজের আলাদা বিশেষত্ব তৈরি করতে হবে। ব্যবসার উল্লেখযোগ্য কিছু কৌশল ধরে সামনে গেলে নিশ্চয় সাফল্যে পৌঁছানো সম্ভব। জেনে নিন, কোন কোন উপায় আপনি নতুন ব্যবসায়ের জন্য কাজে লাগাবেন:
১. ব্যবসার লক্ষ্য নির্ধারণ: আপনিই বুঝবেন কোন জিনিসটিতে আপনার আগ্রহ আছে। আপনি কোন জিনিস নিয়ে কাজ করলে সামনে এগোতে পারবেন।
যেটা আপনার আয়ত্তে এবং যেটাতে আপনার আগ্রহ আছে, তাই নিয়ে কাজ শুরু করাই শ্রেয়। চেনা পণ্য আপনাকে নতুনত্বের অচনা পথকে সহজ করবে। তবে বাজারে যেটার চল আছে। মানুষের পছন্দের গুরুত্ব বিবেচনা আপনাকে করতেই হবে।
২. ক্রেতার সাত সতেরো বুঝা: ব্যবসার প্রাণ হলো ক্রেতা। ক্রেতাই ব্যবসার মূল আকর্ষণ। তাই ক্রেতার টেস্ট আপনাকে বুঝতেই হবে।
তবে যদি ভাবেন, একদিন দেখলেই আপনি ক্রেতা সম্পর্কে ধারণা পাবেন, এটি ভুল। আপনাকে রীতিমত গবেষণায় নেমে পড়তে হবে। এটি আপনাকে সাফল্য আনতে সহায়তা করবে। তাই চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। নতুন ব্যবসায়ীদের জন্য এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
৩. পণ্যের কার্যকারিতা: ব্যবসা শুরুর পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে পণ্যের কার্যকারিতা বিবেচনা করা। এটি যাচাইয়ের একটি উপায় হলো ন্যূনতম কার্যকর পণ্য (এমভিপি) উপস্থাপন।
এটি পণ্য বা পরিষেবার সবচেয়ে মৌলিক সংস্করণ, যা তৈরি করে ক্রেতাদের সামনে তুলে ধরতে হবে; তাদের আগ্রহ বিবেচনার জন্য। ক্রেতার চাহিদা যাচাই করতে হবে গুরুত্বের সাথে।
৪. বিশেষজ্ঞ এবং বিশেষত্ব: আপনার পরিকল্পনা ও কৌশল ঠিক আছে কিনা ব্যবসায় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলুন। মিটিং করুন। এর ভবিষৎ সম্পর্কে আইডিয়া নিন।
আপনি যেহেতু এ জগতে নতুন, তাই আপনার চেয়ে তারা অনেক বেশি অভিজ্ঞ। তাছাড়া আপনার কাজে এবং পণ্যের মানে বিশেষত্ব থাকতে হবে। আপনার পণ্য কেন গ্রাহকের পছন্দ হবে, সেই উত্তর আপনার জানা থাকতে হবে।