এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : শীত মানেই চারিদিকে কুয়াশা আর এই কুয়াশামাখা ভোরে বয়ে আসে খেজুরের রসের ঘ্রাণ। তবে ঝোলাগুড় হোক বা পাটালি গুড় – সবেই রয়েছে ষোলআনা আশ্চর্য রকমের গুনাগুন।
হজমের সমস্যায় পড়ে শরীরে অবস্থা কী বেহাল? নাকি অনিদ্রায় ভোগেন? গাদা গাদা ওষুধ খেয়েও কোনো কিছু লাভ হচ্ছে না? এখন ওষুধ ছেড়ে খেজুরের গুড় খান – ওই সমস্যাগুলি নিমিষেই শেষ হবে।
চিকিৎসকদের মতে নিয়মিত খেজুর গুড় খেলে রক্ত পরিষ্কার হয়। এমনকি রক্তের মধ্যে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সঠিক রাখে। এর ফলে দূষিত রক্তের কারণে যেসব রোগ হয় সেগুলোর হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
খেজুরের গুড়ের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে শরীরে অপরিহার্য উপাদান আয়রন। এর ফলে রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ার প্রতিরোধ করে। এছাড়াও খেজুরের গুড়ে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান যার ফলে মহিলাদের কয়েকটি শারীরিক সমস্যা দূর হয়।
চিকিৎসকদের মতে, নিয়মিত খেজুরের গুড় খেলে হজমের কোনরকম গোলযোগ দেখা দেয় না। এছাড়াও বদহজম কোষ্ঠকাঠিন্য এবং আমাশয় এর মত রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এমনকি লিভারকে সুস্থ রাখে।
খেজুরের গুড়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম এবং পটাশিয়াম। যা আমাদের পেশীকে শক্তিশালী করে তোলে। এর পাশাপাশি অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে দেয়। এমনকি ওজন ও ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
তারুণ্য ধরে রাখতে চাইলে নিয়মিত খেজুরের গুড় খেতে পারেন। এটি ত্বকের মসৃণতা এবং অকালবার্ধক্য দূর করে। এর মধ্যে রয়েছে উপকারী মিনারেল সমৃদ্ধ ভিটামিন। যার ফলে ত্বক আরও উজ্জল এবং ফুসকুড়ি ও ব্রণ দূর হয়।
প্রতিদিন আমাদের শরীরে যে পরিমাণ ম্যাগনেসিয়ামের প্রয়োজন হয় তা খেজুরের গুড় মেটায়। এটি স্নায়ুতন্ত্রের প্রক্রিয়াকে সচল রাখে এবং নার্ভ জনিত নানান রোগের প্রতিরোধ করে।
খেজুরের গুড় হাঁপানি থেকে শুরু করে ব্রঙ্কাইটিসের মতো কঠিন রোগের প্রতিরোধ করে। সাধারণত সর্দি-কাশিতে অব্যর্থ ফল পাওয়া যায়। এছাড়াও কাশি সারিয়ে তোলে। বিভিন্ন মরশুমের রোগ গুলির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এছাড়াও গাঁটে গাঁটে ব্যথা দূর হয় এবং দীর্ঘক্ষন এনার্জি ধরে রাখে।