এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : প্রেম মানে না জাত-কুল, মানে না উচ্চতা। এমনই ঘটনা মিয়াঁ-বিবির ক্ষেত্রে। একেবারে যাকে বলে ‘মেড ফর ইচ আদার’। কারণ বরের উচ্চতা ৭ ফুট ৮ ইঞ্চি, আর বউয়ের উচ্চতা ৫ ফুট। অসম উচ্চতার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন দু’জনে।
পাত্র জোয়েলিসন ফার্নান্দেজ দা সিলবা। সম্প্রতি ব্রাজিলের উচ্চতম ব্যক্তির শিরেপার অধিকারী হয়েছেন তিনি। আসলে এর পেছনে একটি রোগ রয়েছে তার। জোয়েলিসন জায়গ্যান্টিজমের শিকার।
পিটুইটারি গ্ল্যান্ডে এক ধরনের টিউমার থেকে এ রোগ হয়। এর ফলে ছোটবেলা থেকে কম দুর্ভোগ পোহাতে হয়নি তাকে। ক্লাসের বন্ধু থেকে শুরু করে পথচারী পর্যন্ত জোয়েলিসনকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ কম করেনি।
হতাশ হয়ে এক সময় পড়াশোনাও ছেড়ে দেন তিনি। বাড়ি থেকেই বের হতেন কখনো। বাড়িতে কোনো লোক এলেও নিজেকে লুকিয়ে রাখতেন অন্য ঘরে। এ হেন এক ব্যক্তিকে প্রেম নিবেদন করে বসলেন এভেম মেদেইরস।
একসময় সোনার খনিতে কাজ করতেন জোয়েলিসন। এছাড়া খুব একটা বাড়ি থেকে বের হতেন না তিনি। সেখানেই নজরে পড়ে যান। পরে খোঁজ-খবর করে দেখা যায়, ৭ ফুট ৮ ইঞ্চি উচ্চতার আর কোনো ব্যক্তি ব্রাজিলে বাস করেন না।
জীবনে প্রথম কোনো সম্বর্ধনা পান জোয়েলিসন। বিশ্বের বিচারে এ মুহূর্তে তিনি ৩ নম্বরে রয়েছেন। এরপর বিজ্ঞাপনের মডেল হওয়ারও সুযোগ আসে। ফলে একটু খ্যাতির স্বাদ পান। ২৭তম জন্মদিনে তার ফেসবুক পেজে এভেম শুভেচ্ছা জানায় জোয়েলিসনকে।
ছবি দেখেই প্রেমে পড়ে যান তিনি। এরপরই সাক্ষাৎ। ২ মাস বাদেই ২ জনের মনে হয়, একে অপরকে ছাড়া বোধহয় জীবনের রান্নায় নুন কম ঠেকছে। বছর ঘুতে না ঘুরতেই বিয়ে।
এখন 'হ্যাপি কাপল'। আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতোই সুখ-দুঃখ ভাগ করে নিচ্ছেন দু’জনে দু’জনার হয়ে। জোয়েলিসন বলেন, আমায় মাঝে মাঝেই প্রশ্ন শুনতে হয় যে, আমাদের দাম্পত্য স্বাভাবিক কি না? আগে রাগ হত। এখন আর হয় না। বরং এটাকে এনজয় করি, ঠাট্টাও করে বলি, ঘুমালে হাইট কোনো ফ্যাক্টরই নয়।