এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : মারিয়ানা ট্রেঞ্চ হচ্ছে এমন এক রহস্যের নাম যার উদঘাটনের চেষ্টা চলছে অনেকদিন ধরে। এটির দৈর্ঘ্য অনেক বিশাল হওয়া সত্ত্বেও প্রস্থ মাত্র ৬৯ কিলোমিটার যা বিশ্বাস করা বেশ কঠিন।
আপনি জেনে অবাক হবেন যে, এটির সবথেকে গভীরতম খাদের নাম দেওয়া হয়েছে চ্যালেঞ্জার ডিপ। পৃথিবীর গভীরতম সমুদ্রের খাত হিসেবে মারিয়ানা ট্রেঞ্চ এর সুনাম রয়েছে।
এটি এতটাই গভীরে যে সূর্যের আলো পৌঁছাতে পারে না। অনেক গভীরে হওয়ায় এখানে পানির চাপ অত্যন্ত বেশি। পানির তাপমাত্রা বেশ শীতল থাকে। এখানে পানির চাপ এতটাই বেশি যে ভুলক্রমে কোন মানুষ এখানে চলে আসলে সে একেবারে শেষ হয়ে যাবে।
এত গভীরে কোন সামুদ্রিক মাছ বাস করে কিনা সেটি দেখার জন্য ১৯০৭ সালে গবেষণা করা হয়েছিল। একটি ছোট সাবমেরিন পাঠানো হয়েছিল তবে নিশ্চিত করে কিছু বলা যায়নি। ২০১১ এবং ২০১৪ সালে বড় পরিসরে গবেষণা পরিচালিত হয়।
এখানকার গভীরতম স্থানে অদ্ভুত প্রজাতির মাছের সন্ধান পাওয়া যায় যা বিজ্ঞানীরা কল্পনা করতে পারেনি। ধারণা করা হয় ১৮০ মিলিয়ন বছর আগে এটি সৃষ্টি করা হয়েছিল। আরো একটি আশ্চর্যজনক তথ্য হলো যে মারিয়ানার ট্রেঞ্চ এর নিচ থেকে এভারেস্ট এর উচ্চতা গণনা শুরু হলে সমুদ্রের পৃষ্ঠা পর্যন্ত তা পৌঁছাতে পারবে না। এতেই বোঝা যাচ্ছে যে এটি কতটা গভীর।
প্রথম ব্যক্তি হিসেবে চ্যালেঞ্জার দ্বীপ অঞ্চলে ছবি তুলতে সক্ষম হন জেমস ক্যামেরুন। অ্যাংলার মাছ এমন এক অদ্ভুত প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণী যা মারিয়ানা ট্রেঞ্চের গভীরতম স্থানে বাস করে।
এটি দেখতে কুৎসিত এবং ভয়ংকর। সূর্যের আলো পৌঁছায় না এরকম অন্ধকার অঞ্চলে তাদের বাস বলে বংশবিস্তার সম্বন্ধে তেমন তথ্য পাওয়া যায় না।
এটির মাথায় দন্ডাকৃতির এক বস্তু রয়েছে যা আলো জ্বালাতে এবং নিভাতে পারে। হারমিট কাকড়ার বাস রয়েছে এখানে এবং এদের পা দেখতে অদ্ভুত এবং লম্বা। চার পায়ের উপর ভর করে এরা হাঁটতে পারে। এখানে এমন এক অদ্ভুত প্রকৃতির জেলিফিশ রয়েছে যা আলো জ্বালাতে পারে এবং নিভাতে পারে।
সমুদ্রের ৪০০০ ফুট গভীরে অন্ধকার অঞ্চলে এ জেলিফিশ বাস করে থাকে। এটির অবয়ব দেখতে বেশ বিস্ময়কর। অভিনব পদ্ধতিতে এরা শিকার করে থাকে। জায়ান্ট গ্রেনেডিয়ার নামক সামুদ্রিক মাছ ২ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। এরা বেশ দীর্ঘদিন ধরে বেঁচে থাকতে পারে।