শনিবার, ০৪ নভেম্বর, ২০২৩, ১২:৩৬:৪৯

সাতসকালে এসব বন্ধ করলে পাবেন শান্তির অনুভূতি

সাতসকালে এসব বন্ধ করলে পাবেন শান্তির অনুভূতি

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : মানুষের মন বড়ই বিচিত্র। আর তা ব্যক্তিভেদে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত হয়। স্বাভাবিকভাবে ভাবলে, সকালে ঘুম থেকে উঠে মন স্থির থাকার কথা। 

বলা হয়, এমন সময় আমরা ভালোভাবে ফোকাস করতে পারি। ঘুম ঠিকঠাক হলে বিশ্রাম হয় মস্তিষ্কের, আর সেই সঙ্গে স্নায়ুতন্ত্রেরও। সব মিলিয়ে সকালে মানসিক শক্তি ও উদ্যম সর্বোচ্চই হওয়ার কথা। 

কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন, যারা সকালে উঠেই এক ধরনের স্ট্রেস অনুভব করতে থাকেন। কর্মদিবসগুলোতে তা আরও বেশি হয়। সবার সঙ্গে খিটিমিটি লাগে সকাল সকাল। 

সবকিছুতেই মেজাজ চড়ে যায়। তখন দিনের শুরুতেই সবকিছুই এলোমেলো লাগে। আর বেশ অসহনীয় মনে হয় প্রতিটি রুটিন কাজকে। 

একে মনস্তাত্বিক পরিভাষায় সরাসরি মর্নিং স্ট্রেসই বলা হয়। আর সত্যিকার অর্থে এটি একটি মানসিক ডিজঅর্ডার। কিন্তু কিছু খুব সহজ কাজের মাধ্যমেই এই সাতসকালের স্ট্রেস অনেকটা কমিয়ে আনা যায়।

১. মোবাইল,ল্যাপটপ থেকে দূরে থাকা
ঘুম থেকে উঠেই হাতড়ে মোবাইল ফোন খুঁজতে থাকি আমরা। আর এতেই শুরু হয় স্ট্রেসের ধারাবাহিকতা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মেসেজ আর নোটিফিকেশন, ইমেইল আর সংবাদের আপডেট নাই বা দেখলেন ঘুম থেকে উঠেই। এই অভ্যাস দূর করা সোজা নয়৷ কিন্তু একবার সাতসকালে এসব বন্ধ করলে পাবেন শান্তির অনুভূতি।

২.আগে থেকে সব পরিকল্পনা করা
এই সকালের স্ট্রেস সামাল দিতে মোটা দাগে সারা সপ্তাহের করণীয় ও দৈনন্দিন রুটিনের ব্যাপারে পরিকল্পনা করে রাখলে সবচেয়ে ভালো। অন্তত আগের রাতে তো তা করাই যায়। সকালে কী পরবেন, নাশতায় কী থাকবে বা কে কখন কীভাবে বের হবেন এ সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী না করলেই বাড়বে স্ট্রেস।

৩.পছন্দের কোনকিছু শোনা
প্রভাতী প্রহরে ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ শুনলে মানসিক আরাম পান অনেকেই। হতে পারে তা কোন উদ্দীপনা যোগানো সংলাপ, পডকাস্ট বা লেকচার। আবার যার যার পছন্দ অনুযায়ী গান বা আবৃত্তি শুনলেও অনেকে শান্ত বোধ করেন। এরকম একটি প্লে লিস্ট আগে থেকে তৈরি করে রাখুন।

৪. নির্দিষ্ট রুটিন মেনে চলা
আমাদের শরীর ও মন দুইই স্বস্তি পায় যখন আমরা একটা রুটিন মেনে চলি। নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে ওঠা, সময় ধরে ব্যায়াম করে ফ্রেশ হওয়া আর রোজ একই সময়ে সকালের নাশতা করা আমাদের মর্নিং স্ট্রেসের একটা দিক কমিয়ে দেবে।

৫. মেডিটেশন করা
সকালে উঠেই ধ্যান বা মেডিটেশন করলে অনেকটা স্থিরতা আসে মনে। এক্ষেত্রে দুশ্চিন্তা কমানোর মনস্তাত্ত্বিক অনুশীলন আর ব্রিদিং এক্সারসাইজ করা খুব উপকারী হতে পারে। ধ্যান করতে যে একেবারে খুব ঘটা করে বসতে হবে নানা আয়োজনের মাধ্যমে তা কিন্তু নয়। একটু নিরিবিলি যেকোনো জায়গায় বসে দশ মিনিট মেডিটেশন করলেই হবে তথ্যসূত্র: ভেরি ওয়েল ফিট

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে