এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : বিশ্বে প্রতি সেকেন্ডে কয়েকটি শিশু জন্ম নেয়, ফলে জনসংখ্যা দ্রুত বেড়ে চলেছে। তাই কয়েকটি দেশ জন্মনিয়ন্ত্রণ নীতিও চালু করেছে। যাইহোক, আপনি নিশ্চয়ই শিশুর জন্মের সময় কান্নার আওয়াজ শুনেছেন! কিন্তু নবজাতক শিশুরা জন্মের সময় ‘কান্না’ করে কেন জানেন?
চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, সন্তান যখন মায়ের গর্ভে থাকে, তখন একটি প্যাকেটের মধ্যে সিল থাকে এবং সেই প্যাকেটের ভিতরে বিশেষ তরল থাকে। তখন শিশুর ফুসফুস তৈরি হলেও কিন্তু কাজ করে না।
কারণ এইসময় শিশুর বেঁচে থাকার জন্য মুখ বা নাক দিয়ে শ্বাস নেওয়ার প্রয়োজন হয় না, তাই এই তরলটি ফুসফুসের বিকল্প হিসেবে কাজ করে।
এরপর শিশুর জন্মের সাথে সাথে পা চেপে ধরে উল্টো ঝুলিয়ে দেওয়া হয়, এতে করে তার ফুসফুসের ভর্তি তরল বেরিয়ে আসে এবং শিশু সাথে সাথে দ্রুত শ্বাস নিতে থাকে ও কাঁদতে শুরু করে। এরপর শিশুর ফুসফুস কাজ করতে শুরু করে দেয় এবং তা আর জীবনে কখনো থামেনা।
কিন্তু এর বাইরেও একটি পৌরাণিক কাহিনী রয়েছে। একটি নবজাতক শিশুর জন্মের সময় কান্নার পিছনে কারণটি বিষ্ণুপুরাণেও উল্লেখ রয়েছে। ব্রহ্মাজী মানুষকে ঠিক নিজের মতো করে তৈরি করেছেন, তাই মানুষকে ব্রহ্মাজীর অঙ্গও বলা হয়।
ব্রহ্মাজী যখন প্রথম মানব সৃষ্টি করেছিলেন, তখন সে চোখ খুলে প্রশ্ন করতে থাকেন, ‘আমি কোথায়, কোথায় আমি, কোথায় আমি’। আসলে আত্মার একটি নিজস্ব জগতে ছিল, কিন্তু হঠাৎ যখন সেই আত্মাকে একটি জীবন্ত দেহ দেওয়া হয়েছিল এবং তার স্থান পরিবর্তন করা হয়।
এই প্রক্রিয়াটি (শিশুর কান্না) আত্মার সাথে সম্পর্কিত তাই বন্ধ করা যায়নি। ব্রহ্মাজী মনে করেছিলেন, যে জন্মের সময় শিশুর এই উচ্চারণটি ঠিক নয় বলে তিনি শিশুর কণ্ঠ নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন।
তাই নবজাতক শিশুকে জন্মের সময় প্রথমবার কাঁদতে শোনা যায়। আসলে শিশুটি তখন বলে, ‘আমি কোথায়, কোথায় আমি, কোথায় আমি’।