শুক্রবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ১০:০১:১৬

আমাদেরই প্রতিবেশি এক শ্রষ্ট ধনীর বাড়ি, জানলে তাক লাগবে আপনারও!

আমাদেরই প্রতিবেশি এক শ্রষ্ট ধনীর বাড়ি, জানলে তাক লাগবে আপনারও!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : আটলান্টিক মহাসাগরের একটি মায়াবী দ্বীপ। তবে তার মায়া দেখার জন্য আটলান্টিকে পাড়ি দেয়ার প্রয়োজন নেই। মুম্বাইয়ে গেলেই মায়ার খেলা দেখা যাবে। কারণ ভারতের মুকেশ আম্বানি তার বাড়ির নামও রেখেছেন অ্যান্টিলিয়া। ইংল্যান্ডের রাজ প্রাসাদের পর বিশ্বের সবথেকে দামি বাড়ি এটি। মাত্র ছয়জন মানুষের একটি ছোট পরিবারের জন্য এমন বাড়ি খুঁজে পাওয়া সত্যিই কঠিন।

যে বাড়িতে ১৬৮টি গাড়ি এবং ৬০০ ফুলটাইম ব্যক্তিগত সহকারী রয়েছে। ভারতের শীর্ষ ধনকুবের মুকেশ আম্বানি তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সব কিছুর জন্য মানানসই একটি বাড়ি বানাবেন। স্বচ্ছ কাঁচে ঘেরা ২৭ তলা এই বাড়িতে থাকবে গাড়ির পার্কিং, ওয়ার্কশপ, তিনটি হ্যালিপেড, থিয়েটার, জিম, সুইমিং পুল ও ব্যাবিলনের শূন্য উদ্যানের আদলে ঝুলন্ত বাগানবাড়ি। ৬০ তলা উচু এই দালান নিয়ে কেউ বলে থাকেন সম্পদের অশ্লিল বহিঃপ্রকাশের নবসূচনা। নিচে এই বাড়িটি সম্পর্কে ১৩টি চমৎকার তথ্য দেয়া হলো যা পড়লে আপনিও চমকে যাবেন।

১) বাড়িটি দক্ষিণ মুম্বাইয়ের আল্টামাউন্ট রোডের ওপর তৈরি।  এ রাস্তার পাশে যেকোনো ফ্ল্যাটের দাম কমপক্ষে ৮০ হাজার টাকা স্কোয়্যার ফুট।  ফলে আম্বানিদের ৪ লাখ স্কয়ার ফুটের বাড়ির দাম কত হতে পারে তা হিসাব কষে দেখতে পারেন।

২) ২৭ তলা বাড়ির প্রত্যেকটি তলা একটি দোতলা বাড়ির সমান উচ্চতা।  মনে করিয়ে দিই, বাড়িটি রিখটার স্কেলে ৮ মাত্রার ভূমিকম্প সহ্য করতে পারে।

৩) ৬ তলায় গ্যারাজ রয়েছে।  তাতে আম্বানিদের ১৬৮টি গাড়ি রয়েছে।  তবে যদি কোনো সমস্যা দেখা দেয়।  তবে তার জন্য গাড়ি সারাতে বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না, সপ্তম তলে কার সার্ভিস স্টেশনও রয়েছে।

৪) একটা নয়, দু'টো নয়, মোট তিনটি হেলিপ্যাড রয়েছে বাড়ির ছাদে। ট্রাফিক জ্যামে আটকে পড়ার চেয়ে উড়ে যাওয়াই বোদহয় ভালো।

৫) বাড়ির লবি থেকে সুপারফাস্ট ৯টি লিফট রয়েছে।

৬) রিক্রিয়েশনের জন্য বাড়ির বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।  বাড়িতেই মজুদ রয়েছে এমন বিনোদনের উপকরণ যা দেখে বিশ্বের তাবড় তাবড় হোটেল লজ্জা পাবে।  একটি ফ্লোরে রয়েছে গোটা কতক সুইমিংপুল, একটি জাকুজি, একটি যোগ এবং একটি ডান্স স্টুডিও, একটি জিম এবং একটি হেল্থ স্পা।

৭) এখানেই শেষ নয়, একটি বিরাট মন্দির রয়েছে পূজা-অর্চনার জন্য। অতিথিদের জন্য একটি আলাদা স্টাডি, একটি স্যালোঁ, একটি আইসক্রিম পার্লার এবং একটি মুভি থিয়েটারও মজুদ রয়েছে বাড়িতে।  যেখানে ৫০ জন বসে সিনেমা দেখতে পারেন।

৮) গরম থেকে ক্লান্ত হয়ে বাড়িতে ফিরে যদি মনে হয় বরফের দেশ থেকে ঘুরে আসতে পারেন আম্বানিরা। একটি স্নো রুমও রয়েছে সেখানে।  যে ঘরে ঢুকলে দেয়ার থেকে নরম বরফরে টুকরো আপনার গায়ে ছিটকে আসবে।

৯) আদ্যোপান্ত নিরামিষাশী আম্বানিদের বলরুমটিও দেখার মতো।  ডিজনি প্রিন্সের থিমে সাজানো ঘরে হরেক রকমের নিরামিশ প্ল্যাটার পাতে পড়বে নিমিষে।  তবে নো অ্যালকোহল।

১০) যাতে বরপুর সূর্যের আলো-বাতাস পাওয়া যায়।  তাই পরিবারের সবার ঘর একদম উপরের ফ্লোরেই তৈরি করা হয়েছে।  এর অবশয আরো একটি কারণ রয়েছে।  গাড়িতে না গিয়ে তারা হেলিকপ্টারই বেশি ব্যবহার করেন বলেই এমন ব্যবস্থা।

১১) প্রত্যেকটি ফ্লোর আলাদা আলাদা থিমে এবং আলাদা ডিজাইনে তৈরি করা হয়েছে।

১২) আকাশছোঁয়া হলেও এরই মধ্যে একটি বড় বাগানও রয়েছে।  যেখানে ইংরেজি অক্ষর 'W'-এর মতো দেখতে পিলার দিয়ে বাগানটি সাপোর্ট দেয়া রয়েছে।

১৩) মোট ৬০০ কর্মচারী বাড়ির দেখভাল'র জন্য রয়েছেন।  তাদের থাকার জন্যও আলাদ ব্যবস্থা রয়েছে।  তবে বলা হয়, যখন ছেলেমেয়ে আমেরিকা থেকে বাড়িতে আসেন, তখন নিজেদের ঘর তারা নিজেরাই পরিষ্কার করেন। ছোট থেকেই শিক্ষা তেমনটাই দেয়া হয়েছে।
১০ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে